এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলায় ঘুষকান্ড নিয়ে নাড়াচাড়া করলে, বিজেপিকে কি ‘রেড্ডিভাইয়ের’ জন্য অস্বস্তিতে পড়তে হবে?

বাংলায় ঘুষকান্ড নিয়ে নাড়াচাড়া করলে, বিজেপিকে কি ‘রেড্ডিভাইয়ের’ জন্য অস্বস্তিতে পড়তে হবে?


লোকসভা ভোটের আগে নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতর। একদিকে যখন বাংলায় নারদকাণ্ডের মতন ঘুষকান্ড নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব সমস্ত বিরোধী দল। ঠিক তখনই অন্য দিকে বেঙ্গালুরুতে ঘুষকাণ্ডে ফেঁসে ফের গ্রেপ্তার বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী গালি জনার্দন রেড্ডি।

শনিবার সন্ধ্যায় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বল্লারির এই খনি মাফিয়াতথা বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী কে বেঙ্গালুরু পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। জনার্দন রেড্ডির সাথে তার সহযোগী আলি খানকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগেও বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় ফেঁসে তিন বছর জেলে কাটিয়েছেন কর্ণাটকের বিএস ইয়েদুরাপ্পা সরকারের এই মন্ত্রী। কিছুদিন আগেই জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের পুরনো কাজকর্ম শুরু করেছেন বলে খবর।

এদিকে প্রাক্তন মন্ত্রীর গ্রেপ্তারি নিয়ে মুখ খুলেছেন বেঙ্গালুরুর পুলিশ কর্তা অলোক কুমার। তিনি বলেন, “জনার্দন রেড্ডি ঘুষ নিয়েছেন। এই ঘটনার বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ও বিবৃতি হাতে আসার পরেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুব শিগগির জনার্দন রেড্ডিকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হবে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন লগ্নিকারী সংস্থার থেকে তিনি যে ঘুষ নিয়েছেন সেই টাকা উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। টাকা পেয়ে গেলেই সংল্থাগুলিকে তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ঘুষকাণ্ডে ফের ফাঁসতে চলেছেন বুঝতে পেরেই গা-ঢাকা দেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন এই খনি মাফিয়া। আর সেজন্য বেঙ্গালুরু থেকে পালিয়ে যান। সেই সময় পুলিশও পিছু নেয় তাঁর। তিনদিন পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো লুকোচুরি খেলার পর বিশ্রামের আশায় ছিলেন জনার্দন রেড্ডি। ঠিক তখনই পুলিশেরই খপ্পরে গিয়ে পড়লেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নিজামের শহরের এক অভিজাত হোটেল থেকে খনি মাফিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশের জেরার মুখে বেআইনি লগ্নিকারী সংস্থার মালিকের থেকে ১৮ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন জনার্দন রেড্ডি। বেঙ্গালুরুর ওই বেআইনি লগ্নি সংস্থার নাম অ্যামবিডেন্ট গ্রুপ। সংস্থার মালিক সৈয়দ আহমেদ ফরিদ। লগ্নিকারী সংস্থাটি এতদিন সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত্‍ করছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই প্রশাসনের তরফ থেকে শুরু হয় নজরদারি। আর তাতেই ওই সংস্থার আসল উদ্দেশ্য ধরা পড়ে যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সেই সময় কর্ণাটকে ক্ষমতাসীন বিএস ইয়েদুরাপ্পার সরকার। বেআইনি লগ্নিকারী সংস্থা সাধারণ মানুষকে ঠকাচ্ছে এই খবর পেয়েই শহরের এক হোটেল ওই সংস্থার মালিকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জনার্দন রেড্ডি। আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে সৈয়দ আহমেদ ফরিদের কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করেন প্রাক্তন মন্ত্রী। শেষপর্যন্ত ১৮ কোটি টাকায় রেডি সাথে সৈয়দ আহমেদের রফা হয়। এইভাবে টাকা নিয়ে আরও অনেক বেআইনি লগ্নিকারী সংস্থার অভিযোগ ধামাচাপা দিয়ে দেন জনার্দন রে়ড্ডি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সম্প্রতি জনার্দন রেড্ডির আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে নড়েচড়ে বসে বেঙ্গালুরু পুলিশ। সেই সময়ই এই বিরাট অঙ্কের ঘুষকাণ্ডের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। আর তারপর থেকেই এই খনি মাফিয়ার গতিবিধির উপর বিশেষ নজর রেখে শনিবার হায়দরাবাদ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও এই গ্রেপ্তারি সম্বন্ধে এখনই কোনো কথা বলতে নারাজ পুলিশ। প্রাক্তন মন্ত্রীর কীর্তি কলাপে কার্যত নীরবতা পালন করেছে ব্যাঙ্গালোরের বিজেপি নেতৃত্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!