এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বাংলায় প্রভাব তীব্র করতে কোমড় বাধছেন ওয়াইসি? পিছনে কি বিজেপির খেলা? ঘুম উড়ছে তৃণমূলের?

বাংলায় প্রভাব তীব্র করতে কোমড় বাধছেন ওয়াইসি? পিছনে কি বিজেপির খেলা? ঘুম উড়ছে তৃণমূলের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সামনেই বিধানসভা নির্বাচন‌। তৃণমুল কংগ্রেসের অন্যতম মূলধন তাদের সংখ্যালঘু ভোট। কিন্তু এবার সেই সংখ্যালঘু ভোটেও থাবা বসাতে কি বাংলায় সক্রিয়তা বাড়াতে চালিয়েছে এআইএমআইএম? জানা গেছে, এই রাজনৈতিক দলের সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়াইসির একটি মন্তব্যের জেরে এখন বাংলায় মুসলিম ভোটের অংক নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে, যদি এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে হায়দ্রাবাদের এই রাজনৈতিক দল লড়াই করে এবং সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসায়, তাহলে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে কে সবথেকে বেশি লাভ করবে!

একাংশ বলছেন, এর মধ্যে সবথেকে বেশি লাভ হবে ভারতীয় জনতা পার্টির। সেদিক থেকে অনেকটাই অসুবিধায় পড়বে তৃনমূল কংগ্রেস। জানা যায়, বিহারের কিষানঞ্জ বিধানসভা ভোটের প্রচারে আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, “বাংলায় তাদের দলের অস্তিত্ব রয়েছে। কিভাবে পরিকাঠামো বাড়িয়ে সেখানে কাজ করা যায়, তা দেখা হচ্ছে।” স্বাভাবিকভাবেই তার এই মন্তব্যে এখন ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। তাহলে কি আগামী দিনের বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাতে হায়দ্রাবাদের রাজনৈতিক দল তৎপর!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বাংলার সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের দিকে রয়েছে। সেদিক থেকে এই সংখ্যালঘু ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক দল যদি বাংলায় তাদের দাপট বাড়াতে শুরু করে, তাহলে সেই ভোট ভাগ হয়ে যেতে পারে। যা তৃণমূলের ভোটে থাবা বসাবে। অন্যদিকে অপর অংশ বলছেন, রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর সংখ্যালঘুদের নিয়ে একটা বড় সংগঠন রয়েছে। তাই এক্ষেত্রে তৃণমূলের অত চাপ হবে না। তাদের দিকেই সংখ্যালঘুদের সমর্থন থাকবে। তৃণমূলের বক্তব্য, বাংলাভাষী সংখ্যালঘু সমাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন ও তার প্রভাব রয়েছে। তাই সেদিক থেকে ওআইসির প্রভাব কোনোমতেই বাংলার নির্বাচনে পড়বে না।

তবে অনেকে আবার বলছেন, এর পেছনে বিজেপির সুক্ষ্ম চাল রয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকেই এই ওয়াইসিকে বাংলার জন্য লাগিয়ে সংখ্যালঘু ভোটকে ভাগ করে দেওয়ার কৌশল তৈরি করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, “অতীতে বিহারে লোকসভা বা মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, অন্ধের মত রাজ্য বিধানসভায় এআইএমআইএম প্রার্থী দেওয়ায় বিজেপি বা তার সহযোগীদের সুবিধা হয়েছে। সংখ্যালঘু প্রধান ক্ষেত্রে এমন প্রার্থী থাকলে সেখানে বিজেপিরই লাভ। অতিবিপ্লবী মুসলিম সেজে বাংলাতে ওরা তৃণমূল কংগ্রেসের যাত্রা ভঙ্গ করে বিজেপির হাত শক্ত করতে চাইছে।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী বলেন, “পর্দার আড়ালে এগুলো বিজেপিরই খেলা। ভোট ছাড়াও এআইএমআইএমের মত শক্তি যত কট্টরপন্থী সুর চড়াবে, বিজেপি আরএসএসের তত হিন্দুত্ব করতে সুবিধা হবে। তবে বাংলার মানুষ সচেতন। তারা সুচিন্তিতভাবেই সিদ্ধান্ত নেবেন।”

এদিন এই ব্যাপারে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আরও অনেকের মতো সংখ্যালঘু মানুষ বিজেপিকে হারাতে চান। তারা জানেন বাংলায় বিজেপিকে হারানোর শক্তি রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অন্য কে কি বলল, তাতে তারা প্রভাবিত হবেন না।” তবে যে শিবিরের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, পরিস্থিতি যে ক্রমশ জটিল হয়ে উঠবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না‌। সব মিলিয়ে হায়দ্রাবাদের এই রাজনৈতিক দলটি আগামীদিনে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে এবং তারপর কোন রাজনৈতিক দলের চাপ সবথেকে বেশি বৃদ্ধি পায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!