এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, আদালতের অনুমতি ছাড়া কমিশন করতে পারবে না সুপারিশ!

বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, আদালতের অনুমতি ছাড়া কমিশন করতে পারবে না সুপারিশ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ফের বড়সড় ধাক্কা। এবার উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরি একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশিকায় জানিয়ে দিয়েছেন, এই শিক্ষক নিয়োগের জন্য আদালতের অনুমতি না নিয়ে কোনোভাবেই কোনো সুপারিশ করা যাবে না। যার ফলে নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই আখতারুল ইসলাম কয়াল এবং বেশ কিছু জনের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছিল। যেখানে জানানো হয়েছিল, মেধা তালিকায় যে সমস্ত ত্রুটি রয়েছে বলে মনে করা হয়, স্মারকলিপি দিয়ে সেগুলো স্কুল সার্ভিস কমিশনকে জানাতে হবে। এমনকি মেধা তালিকা প্রকাশিত হওয়ার তিন সপ্তাহের মধ্যে সেই স্মারকলিপি পেশ করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল আদালত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এছাড়াও আদালতের নির্দেশকে বাদ রেখে কমিশন কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে পারবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে আদালতের এই নির্দেশের পরেই ভানু রায় নামে এক ব্যক্তি সহ আরও 15 জন প্যানেলভুক্ত চাকরিপ্রার্থী লকডাউনের মধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আর সেখানে তাদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম তাদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সওয়াল করেন। তিনি বলেন, গত 2012 এবং 2015 সালের টেট পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে 2016 সাল থেকে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়, তার শুরু থেকেই অনিয়ম চলেছে।

প্যানেলভুক্ত প্রার্থীরা আশঙ্কা করছেন, এরপরেও অনিয়ম হতে পারে। সেই সূত্রে চাকরির সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে। আর মামলাকারীর আইনজীবীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের পক্ষ থেকে এবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, শিক্ষক নিয়োগের জন্য আদালতের অনুমতি না নিয়ে কোনোরূপ সুপারিশ করা যাবে না।

অর্থাৎ আদালত এই নির্দেশের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিল যে, এক্ষেত্রে তাদেরকে বাইরে রেখে কোনোভাবেই কোনো অনিয়ম কেউ পারবে না। জানা গেছে, আগামী 15 দিনের মধ্যে এই মামলার প্রতিলিপি রেজিস্টার্ড পোস্টে কমিশন সহ অন্যান্য বিবাদীপক্ষকে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!