এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > এখন দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে আমি ফিরে এসেছি, বাংলা থেকে তৃণমূল সরকারকে ভাগাবই – দাবি হেভিওয়েট গেরুয়া নেতার

এখন দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে আমি ফিরে এসেছি, বাংলা থেকে তৃণমূল সরকারকে ভাগাবই – দাবি হেভিওয়েট গেরুয়া নেতার


এবার রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা গেল উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী তথস জাতীয় বিজেপির মুখপাত্র সিদ্ধার্থনাথ সিংকে। এদিন বিজেপি মিডিয়া সেলের একটি কর্মশালায় যোগ দিয়েই যাবতীয় ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঁচাছোলা ভাষা মা মাটি মানুষের সরকারকে নিশানা করে বললেন,’যে তৃণমূল নেতারা বলছেন আমি উত্তরপ্রদেশে ভেগে গেয়েছি। তাঁদের উদ্দেশে বলছি, এখন দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে আমি ফিরে এসেছি। আগে বাংলার জামাই ছিলাম, এখন বাংলার শ্বশুর হয়েছি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল সরকারকে ভাগাবই’।

আগামী লোকসভা ভোটেই যে তৃণমূলকে বিজেপির শক্তি বুঝিয়ে দেবে সেটাই পরিস্কার ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন তিনি। ২০১৩-র সুপারহিট বলিউড সিনেমা ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ এর অনুকরণেই রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের উদ্দেশ্যে ‘ভাগ-ভাগ-ভাগ’ শ্লোগান দিলেন তিনি। গত লোকসভা ভোটেও নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে এই শ্লোগানেই প্রচারের ঝড় তুুলেছিল বিজেপি। সেই শ্লোগানেরই পুনরাবৃত্তি শোনা গেল তাঁর গলায়।

এদিনের এই কর্মশালায়  সিদ্ধার্থনাথ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বিজেপির ন্যাশনাল আইটি ইনচার্জ অমিত মালব্য, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা রাজ্যের সহযোগী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, রাজ্যের দুই সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ও প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখরা।একসময় রাজ্যবিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ছিলেন সিদ্ধার্থনাথ সিং। কিন্তু তারপরে কেটে গিয়েছে বহু সময়। রাজ্যবিজেপির দায়িত্ব ছেড়ে তিনি এখন যোগীর মন্ত্রীসভার সদস্য।

কিন্তু বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক তার বরাবরই দৃঢ়। সেই সম্পর্ক আরো পোক্ত হল ব্যক্তিগত কারণে। তাঁর স্ত্রী একজন বাঙালি। ছেলের বিয়েও বাংলাতেই দিলেন তিনি সম্প্রতি। তবে তৃণমূলবিরোধীতা এখনও একরকমই রয়েছে বাংলার এই জামাই-এর। সেই তৃণমূলবিদ্বেষী রূপেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটল এদিন। ১৯ এর লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে কমপক্ষে ২৫ টি আসন দখল করবে বিজেপি,এমনটাই নিদান দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি।

যুক্তিতে জানালেন, আগের তুলনায় সাংগঠনিক দিক থেকে বাংলায় বিজেপি এগিয়ে অনেক। হাতে কলমে হয়তো বিরোধী রাজনৈতিক দলের তালিকায় বামফ্রন্ট,কংগ্রেস রয়েছে, তবে কার্যত লড়াইটা তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির। বামেদের প্রতাপ কমেছে ক্ষমতা থেকে সরার পরই,আর কংগ্রেস এখনো সেভাবে থিতু হতে পারেনি বাংলায়। তাই এদেরকে টেক্কা দিয়ে বিজেপি এখন সাংগঠনিক শক্তির দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে।

এদিন শান্তিপুরের বিষমদ কান্ড নিয়েও রাজ্যসরকারকে বেঁধেন উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেন,বাংলায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলা হয় বিজেপির মদতে বিহার,ঝাড়খন্ড থেকে দুষ্কৃতি ঢুকে এসব কাজ করেছে। কিন্তু এ অভিযোগ সত্যি নয়। আসলে ভোটব্যাঙ্ক বাঁচানোর লালসায় তৃণমূল বিজেপির উপর দোষ চাপায়। বেআইনি কোনো ঘটনা ঘটলেই সেটা দমন করার চেষ্টা না করে শুধু বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করাতেই ফোকাস করে তৃণমূল,এমনটাই জানালেন ‘বাংলার জামাই’ সিদ্ধার্থনাথ।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

চলতি মাসেরই ৭ তারিখ শুরু হতে চলেছে বিজেপির বৃহত্তর রথযাত্রা কর্মসূচী। কিন্তু এখনো রাজ্যসরকার বিজেপিকে এর অনুমতি দেয়নি,যা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টের। রাজ্যসরকারের এরকম অসহযোগী আচরণেরও তীব্র সমালোচনা করলেন তিনি। বিজেপি রথযাত্রার প্রেক্ষিতে রাজ্যরাজনীতির উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্যেও শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুললেন জাতীয় বিজেপির মুখপাত্র।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!