এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > প্রবাসী বাঙালিদের কাছে বাংলার ‘দুর্দশা’ তুলে ধরতে দিল্লিতে বিশেষ পদক্ষেপে গেরুয়া শিবিরের

প্রবাসী বাঙালিদের কাছে বাংলার ‘দুর্দশা’ তুলে ধরতে দিল্লিতে বিশেষ পদক্ষেপে গেরুয়া শিবিরের


বছর ঘুরতেই লোকসভা নির্বাচন। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে মাস কয়েক আগেই। এবার নির্বাচনে ভোট ব্যাঙ্কে জোয়ার আনতে বাংলাকেই পাখির চোখ করেছে মোদী-শাহ। সেকথা দফায় দফায় বাংলার বুকে জনসভা করে জানিয়ে দিয়েছেন জাতীয় বিজেপি সভাপতি। ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২২ টি দখলে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা কথাও রাজ্যবিজেপিকে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন শাহ।

সে লক্ষ্যে পৌছাতে বিজেপিকে সাংগঠনিক শক্তি তৃণমূলস্তরে বৃদ্ধি করতে হবে। কারণ একথা অস্বীকার করার উপায় নেই,বাংলায় বিজেপির উত্থান হলেও এখানে পদ্ম ফোটাতে হলে লড়াইটা জোড়াফুলের সঙ্গেই করতে হবে। তাই জেলায়,জেলায়, ব্লকে ব্লকে জনসংযোগ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চলছে বিজেপির প্রচার কর্মসূচি। তার সঙ্গে তৃণমূল শাসনে রাজ্যের পরিস্থিতি কতোটা ভয়ানক হয়েছে সেটা সাধারণ মানুষকে বোঝানোর কাজটাও ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যবিজেপির নেতৃত্বরা।

সেই কর্মসূচিরই পরবর্তী ধাপে এবার প্রবাসী বাঙালিদেরও নিজেদের দিকে টানতে নয়া কৌশল বিজেপির। অধুনা তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক-আর্থিক পরিস্থিতির দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা তুলে ধরতে অভিনব উদ্যোগ নিল গেরুয়া শিবির। আর সেই লক্ষ্যেই বিজেপির উদ্যোগে এদিন দিল্লিতে ‘সেভ বেঙ্গল’ নামে এক অরাজনৈতিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটল।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে বাংলা কতোটা অধঃপতনে নেমেছে,রাজনৈতিক হোক বা অর্থনৈতিক কিংবা শিক্ষা ব্যবস্থা সবদিক থেকেই উন্নয়ন করতে ব্যর্থ তৃণমূল সরকার। মুখে উন্নয়নের বুলি আওড়ে বাংলায় সন্ত্রাসের শাসন কায়েম করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে কোনো শিল্প নেই, নেই কোনো কর্মসংস্থান, বেকারত্বের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। ওদিকে নেত্রী শিল্প আনার নামে বিদেশ বিভুঁই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুই। রাজ্যে যেখানে সেখানে এলাকা দখলের নামে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে,মার-দাঙ্গা লেগেই আছে,তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে বোমাবাজি।

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হলেও নিয়োগ সম্পন্ন করতে পারে এ রাজ্যসরকার। ওদিকে খাদ্যাভাবে মৃত্যু হচ্ছে উপজাতি সম্প্রদায়ের। মাওবাদী কার্যকলাপে যুক্ত ছিলেন যারা তাদের নেত্রী চাকরি দিয়েছেন অথচ মাওবাদী আক্রান্তরা বঞ্চনার শিকার! রাজ্যে একের পর এক সেতু দুর্ঘটনা রাজ্যসরকারের দুর্নীতিকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়।

এছাড়া সারদা-নারদা চিটফান্ড কান্ডে একের পর এক তৃণমূলের বাঘা নেতৃত্বের নাম তদন্তে উঠে এসেছে। গুটিকতক প্রকল্পের ভেলকি দেখিয়ে রাজ্যবাসীকে বোকা বানিয়ে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মোদ্দাকথা হল,পশ্চিমবঙ্গের সার্বিক অবনমন হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে। আর এই বার্তাই সুদূর বিদেশে থাকা বাঙালিদের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই অরাজনৈতিক সংগঠনের ভিত্তিস্থাপন করল বিজেপি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এর জন্যেই দিল্লির কনস্টিউশন ক্লাবে পশ্চিমবঙ্গের সমকালীন পরিস্থিতি শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এছাড়াও ছিলেন সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশ, রাজ্যসভার এমপি স্বপন দাশগুপ্ত, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অধিকর্তা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!