এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ব্যাপক উন্নয়নের পরেও কেন বিজেপির কাছে হার? কারণ অনুসন্ধান শুরু তৃণমূলের অন্দরে

ব্যাপক উন্নয়নের পরেও কেন বিজেপির কাছে হার? কারণ অনুসন্ধান শুরু তৃণমূলের অন্দরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করেন ঘাসফুল শিবিরের নেতাকর্মীরা। 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ব্যাপক হাওয়া থাকলেও, দু’শোর বেশি আসনে জয়লাভ করতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। আর এই জয়লাভের পেছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সরকারের উন্নয়ন যে প্রধানভাবে কাজ করেছে, সেই ব্যাপারটি নিশ্চিত সকলের কাছে। তবে তৃণমূল 213 টি আসনে জয়লাভ করে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করলেও, বেশকিছু আসনের পরাজয় কার্যত প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের অন্দরমহলে।

যেখানে ব্যাপক উন্নয়ন হওয়া সত্বেও কেন মানুষের সমর্থন পাওয়া গেল না, এখন সেটা নিয়েই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিসগুলোতে। বলা বাহুল্য, তৃণমূলের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার অন্তর্গত ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রে। এখানকার প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক তৃণমূলের অনিল অধিকারী নিজের হাতে এলাকার সমস্ত সমস্যা সামাল দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি প্রয়াত হওয়ার পর এখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কে টিকিট পাবে, তা নিয়ে রীতিমত দড়ি টানাটানি শুরু হয়। অবশেষে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুভাষচন্দ্র রায়কে।

কিন্তু এবার প্রয়াত দলের নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়কের করা উন্নয়ন সত্বেও নির্বাচনী লড়াইয়ে বিজেপির কাছে হেরে যেতে হল সুভাষবাবুকে। আর সারা রাজ্যজুড়ে উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন হলেও এবং তৃণমূল তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসলেও, কেন ফালাকাটায় তাদের এই ফলাফল হল, এখন সেটাই প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে। একাংশের অভিযোগ, উন্নয়নে নিরিখে এখানে হয়ত বা ভোট হয়েছে ঠিকই। কিন্তু দলের একাংশের অন্তর্ঘাতের কারণে জয়লাভ করতে পারেননি তৃণমূল প্রার্থী।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তৃণমূলের মধ্যে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। ঠিক কি কারণে সাড়ে তিন হাজারের মত ভোটে বিজেপির প্রার্থী থেকে পিছিয়ে গিয়ে পরাজিত হতে হল তৃণমূল প্রার্থী সুভাষবাবুকে, তা নিয়ে একে অপরের দিকে আঙ্গুল তুলতে শুরু করেছেন। যদিও বা তার এই পরাজয়ের পেছনে একাংশের অন্তর্ঘাত রয়েছে বলে কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সুভাষ রায়। এদিন তিনি বলেন, 13 টি পঞ্চায়েতের মধ্যে 11 টিতে আমাদের দল ক্ষমতায় রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রয়াত বিধায়ক অনিলবাবু ফালাকাটায় যে উন্নয়ন করে গিয়েছেন, তাতে আমাদের এখানে হারার কথা নয়। বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফালাকাটাকে পৌরসভা করার কথা ঘোষণা করায় আমরা বাড়তি সুবিধা পেয়েছি। মানুষও স্বাগত জানিয়েছে। এতকিছুর পরেও কেন পরাজয়, সেটা দেখা হবে। আমরা এখানে হেরে গিয়েছি। এর পেছনে দলীয় অন্তর্ঘাত ছাড়া দ্বিতীয় কোনো কারণ থাকতে পারে বলে আমি মনে করি না। দলের বিশ্লেষণে সবটাই সূক্ষভাবে বিশ্লেষণ করা হবে।”

অর্থাৎ যে কারণেই পরাজয় হোক না কেন, তৃণমূল প্রার্থী কার্যত আত্মবিশ্বাসী যে, এই পরাজয়ের পেছনে রয়েছে দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল এবং অন্তর্ঘাত। আর যদি ফলাফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এই কারণটাই প্রধানভাবে উঠে আসে, তাহলে তৃণমূল যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে কোনোমতেই নিজেদের সরিয়ে নিতে পারবে না, তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, উন্নয়ন করা সত্ত্বেও এই পরাজয় তৃণমূল প্রার্থী সহ দলের একনিষ্ঠ কর্মীদের পক্ষে মানা সত্যিই সম্ভব হচ্ছে না। তবে উন্নয়নের নিরিখে মানুষ যে এখানে তৃণমূলকে সমর্থন করেছেন, তা একপ্রকার স্পষ্ট। কিন্তু তিন হাজার ভোটের মত সামান্য ভোটে বিজেপির থেকে পিছনে পড়ে যেতে হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীকে। আর এই সামান্য ভোটের ফারাক যে দলের একাংশের কারণেই, তা একপ্রকার স্পষ্ট। অনেকে বলছেন, অনিল অধিকারী প্রয়াত হওয়ার পর এই বিধানসভা কেন্দ্রের টিকিট কে পাবেন, তা নিয়ে রীতিমত যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল।

তবে শেষ পর্যন্ত সুভাষবাবু টিকিট পাওয়ার পর দলের অনেক নেতা কর্মীরা ঠিকমত তা মেনে নিতে পারেননি। যার জেরে বিধানসভা নির্বাচনে তারা ময়দানে না নামার কারণে সামান্য ভোটে পরাজিত হতে হলে তৃণমূল প্রার্থীকে। তবে মুখে সুভাষবাবুর অনুগামী থেকে শুরু করে অন্যান্যরা অন্তর্ঘাতের অভিযোগ করলেও, শেষ পর্যন্ত দলের ফলাফল বিশ্লেষণের রিপোর্টে হারের ব্যাপারে ঠিক কি কারন উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!