এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > হুহু করে বাড়ছে সংক্ৰমণ! পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক জমায়েত! ভোটের আগে প্রশ্নের মুখে রাজনীতি

হুহু করে বাড়ছে সংক্ৰমণ! পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক জমায়েত! ভোটের আগে প্রশ্নের মুখে রাজনীতি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মানুষের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর গলায় নির্বাচনের আগে দরদ উথলে ওঠে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ। কিন্তু যে মানুষের জন্য তাদের এই রাজনীতি, করোনা পরিস্থিতিতে সেই কথাকেই ভুলে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ময়দানে নামতে দেখা যাচ্ছে সেই রাজনৈতিক দলগুলোকে। যাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। রাজনৈতিক দলগুলো এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব অবলম্বন করে সভা-সমিতি করবে, এটাই কাম্য ছিল।

কিন্তু তা না করে যেভাবে নিজেদের রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের জন্য তারা ময়দানে নামতে শুরু করেছে, তাতে সাধারণ মানুষের জীবন সংকটের মুখে পড়েছে বলেই দাবি জনসাধারনের। যার ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবমূর্তি নিয়ে জনমানসে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক দলগুলো অতিমারির সময় নিজেদের ভূমিকা ভুলে গিয়েছে। তাই যোগদান পর্ব থেকে শুরু করে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার বিভিন্ন কর্মসূচিতে মেতে উঠতে দেখা যাচ্ছে তাদের। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে যাতে তারা সকলে সচেতনতা পালন করেন, সেই ব্যাপারে সকলকে আবেদন করছেন সাধারণ মানুষ।

এদিন এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের জনৈক বাসিন্দার বক্তব্য, “নিজেদের অনুষ্ঠানেই যদি নেতারা কর্মীদের বিধি মানতে বাধ্য না করেন, তাহলে অন্য মানুষেরা কথা মানবেন কেন? সমাজের যে কোনো কাজে রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। অতিমারী ঠেকাতে আরও সক্রিয় হওয়া উচিত।” আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, সত্যিই তো তাই! মানুষ বেঁচে থাকলে, তবেই তো রাজনীতি। সেক্ষেত্রে মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে কেন করোনার মধ্যে এত জনসমাগম করেও স্বাস্থ্যবিধি না মানার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে নানা প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, “মানুষকে নিয়েই আমাদের কাজ। মানুষকে সতর্ক করছি। নিষেধ করছি বারংবার। তবু আবেগের কাছে স্বাস্থ্যবিধি মানা যাচ্ছে না। সামনেই ভোট। ভোট তো আর ভার্চুয়ালি হবে না। তাই মানুষের কাছে যেতেই হবে আমাদের নানা কর্মসূচি নিয়ে।” এদিকে এই ব্যাপারে জেলা বিজেপির সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, “সংক্রমণকে এড়াতে জেলার একমাত্র আমরাই মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার করে নির্দিষ্ট সংখ্যক আসনের ব্যবস্থা করে দলীয় কার্যালয়ে কিংবা অন্য কোথাও সেই কর্মসূচি করছি। পাশাপাশি মানুষকেও সতর্ক করা হচ্ছে।”

এদিকে মঙ্গলবার কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে জেলাশাসকের কাছে জমায়েত করে ডেপুটেশন দিতে দেখা গেছে কংগ্রেসকে। কেন তারা স্বাস্থ্য বিধি না মেনে এই কর্মসূচি করল! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মহফুজ আলম ডালিম বলেন, “দুই সরকারের কার্যকলাপে মানুষ অতিষ্ঠ। ফলে তারা কংগ্রেসকে আঁকড়ে ধরতে চাইছে। তাদের আবেগের কাছে হার মানছে স্বাস্থ্যবিধি।” তবে মানুষের আবেগ ততক্ষণ থাকবে, যতক্ষণ তাদের জীবন সুস্থ থাকবে।

এক্ষেত্রে করোনার মধ্যে যেভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর জমায়েত করতে ব্যস্ত রয়েছে, তাতে সাধারন মানুষ যদি আক্রান্ত হতে শুরু করেন, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে আরও বেশি করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে। সব মিলিয়ে জনসাধারণের আবেদন, পরে হোক রাজনীতি। এখন অন্তত করোনা পরিস্থিতিতে জমায়েত এড়িয়ে চলুন সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!