এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বেসরকারি বাস মালিকদের উদ্দেশ্যে এবার কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

বেসরকারি বাস মালিকদের উদ্দেশ্যে এবার কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থাকে ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র বাদানুবাদ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই এতদিন লকডাউন চলছিলো। ফলে পথে সাধারণ মানুষ নামেনি এবং পরিবহণ ব্যবস্থাও শুরু হয়নি। আনলক ওয়ান পর্ব থেকেই সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে যায় খুব স্বাভাবিকভাবেই। পথে নামের নিত্যযাত্রীরা। কিন্তু যেহেতু ট্রেন বন্ধ, নিত্যযাত্রীরা নির্ভর করতে শুরু করেন বাসের উপর। অন্যদিকে সরকারি বাস পর্যাপ্ত পরিমাণে দেখা গেলেও দেখা মিলছে না বেসরকারি বাসের। ফলে ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বেসরকারি বাস পরিবহণ সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে বাস ভাড়া বৃদ্ধির দাবি তুলে সম্প্রতি বাস চালানো বন্ধ করে দেবার কথা বলা হয়। আর তারপরেই সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের হাতে 15 হাজার টাকা ভর্তুকি হিসেবে তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও বেসরকারি বাস মালিকপক্ষরা রাজি হয়নি। পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বেসরকারি বাস পরিবহণ। আর এবার এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার কড়া মনোভাব নিল বলে জানা যাচ্ছে।

মঙ্গলবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বেসরকারি বাস মালিকদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন বলে জানা গেছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, যদি বেসরকারি বাস পথে না নামে তাহলে এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আগামী তিন মাস 15 হাজার টাকা ভর্তুকি দিতে চাইলে সেইসময় বাস মালিকরা রাজি হলেও পরবর্তীতে তাঁরা নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করে অন্য কথা বলছেন।

অন্যদিকে সাধারণ মানুষ মুখোমুখি হচ্ছে চরম অসুবিধার। তাই এবার তিনি আরও পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, বুধবার থেকে যদি রাস্তায় পর্যাপ্ত সংখ্যক বেসরকারি বাস না নামে তাহলে বিপর্যয় মোকাবিলার আইন প্রয়োগ করে বাস মালিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, বেসরকারি বাস মালিকরা যদি পথে বাস না নামায়, তাহলে সেই বাস অধিগ্রহণ করে সরকার চালাবে। সে ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে বাস মালিকদের ভাড়া মিটিয়ে দেওয়া হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদি বাসের চালক, কনডাক্টররা সরকারের সঙ্গে কাজ করতে রাজি হয় তাহলে সরকার তাঁদের বেতন দেবে না হলে বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গেছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ডিজেলের দাম বাড়লে যদি বাসভাড়া বাড়াতে হয়, তাহলে জ্বালানির দাম কমলে ভাড়া কমানোর ব্যাপারটিও এবার ভেবে দেখতে হবে। অন্যদিকে বেঙ্গল বাস সিণ্ডিকেটের পক্ষ থেকে জানা গেছে, তাঁদের 600 থেকে 700 টি বাস চলতো আগে। বর্তমানে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র 100 থেকে 150 তে।

শুধু তাই নয়, বাকি বিভিন্ন রুটের বেসরকারি বাসের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমে গিয়েছে। অন্যদিকে বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণ কমল সাহার বিবৃতি অবশ্য অন্য কথা বলছে। তাঁর কথায়, ভাড়া বাড়ানো ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। এবং এই বিবৃতি ঘিরে শাসক মহলেই শুরু হয়েছে জল্পনা। অন্যদিকে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেভাবে প্রতিনিয়ত জ্বালানির খরচ বাড়ছে তাতে ভাড়া না বাড়ালে রাস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণে বাস চালানো সম্ভব হবেনা।

দেখা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষকে পথে নামতে গেলে এই মুহূর্তে ভরসা করতে হচ্ছে বাস-অটো, ট্যাক্সির ওপর। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ বাড়িয়ে ইতিমধ্যেই কিছুটা হলেও মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে পরিবহণের। অতএব নতুন করে যদি আবার ভাড়া বাড়তে শুরু করে তাহলে বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের ওপর আর্থিক চাপ যে আরও বাড়বে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের। তবে সরকারের সাথে বেসরকারি বাস মালিকদের যে টানাপোড়েন চলছে, তাতে কিন্তু নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত পরিস্থিতি সামলাতে সরকারের কড়া পদক্ষেপ এর পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের পরবর্তী সিদ্ধান্তের দিকে লক্ষ্য রাখবে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!