প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বছরের প্রথম দিনই বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্রীয় সাস্থ্য মন্ত্রকের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই বৈঠকের পরই, জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অক্সফোর্ড অস্ত্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনকে অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরই বিশেষজ্ঞ কমিটি অনুমতি দায় ভারত বায়োটেক এর ভ্যাকসিন কে। অবশেষে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের তরফে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পায়ে এই দুই ভ্যাকসিন।

নতুন বছরের শুরুতেই খুশির খবর নিয়ে এসেছে ভ্যাকসিন। টানা ৯ মাস করোনা আতঙ্কে কাটানোর পর, একটু হলেও আশার আলো দেখা গেছে। বিভিন্ন দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বর্তমান সময়। তার সাথেই রয়েছে কোরোনা এর নতুন স্ট্রেন এর আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা এর নতুন স্ট্রেন এর খোজ পাওয়া গেছে।

ব্রিটেনে সবচেয়ে বেশি থাবা বসিয়েছে এই নতুন ধারার কোরোনা। এরই মধ্যে, কেন্দ্রীয় সাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে চলেছে কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া। ভ্যাকসিন অনুমোদনের পর ১০ দিনের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।

কেন্দ্রীয় সাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে গতকাল জানানো হয়েছে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গুলি খুব শীঘ্রই তাদের প্রথম দফার ভ্যাকসিন পাবে। এব্যাপারে রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আজই, দেশ জুড়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের ভ্যাকসিনের ড্রাই রান চালানো হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ের মতোই দ্বিতীয় পর্যায়ের ড্রাই রানে ভ্যাকসিন দেওয়ার পদ্ধতির মহড়া চালানো হবে।

ইতিমধ্যে, ভারতে ভ্যাকসিন সরকারের তরফে দেওয়া শুরু হতে চলেছে, এবং সেই সাথে ভ্যাকসিনের রপ্তানিও চালানো শুরু হয়েছে। কিন্তু বেসরকারি ক্ষেত্রে এখনও ভ্যাকসিন পাওয়া যাওয়ার ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। FICCI এর তরফে বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে টিকাকরন এর জন্য সরকারকে সাহায্যের কথা বলা হয়েছে।

এই ব্যাপারে FICCI, তাদের কৌশল ও পদ্ধতি জানিয়ে, কিভাবে বেসরকারি ক্ষেত্র টিকাকরন পদ্ধতি কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে তা জানিয়ে চিঠি দিয়েছে সরকারের কাছে। বেসরকারি ক্ষেত্র গুলি অপেক্ষা করে আছে সরকারের নির্দেশের অপেক্ষায়। তবে নিতান্ত বলেই বাহুল্য বেসরকারি ক্ষেত্র গুলি ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য উদ্যোগী।