জানেন কি বিখ্যাত সাহিত্যিক বনফুলের জীবনের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার কি? জানলে চমকে যাবেন অন্যান্য বিশেষ খবর July 24, 2018 জনৈক আশেকুর রহমানের সৌজন্যে বিখ্যাত চিকিৎসক তথা বাংলা সাহিত্যের স্বর্ণযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের (যিনি বনফুল নামেই বিখ্যাত ছিলেন) জীবনের এক অজানা অধ্যায় আমাদের হাতে এল। পড়তে পড়তে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল – তাই তা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার না করে পারলাম না। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে কলকাতার বিখ্যাত সংবাদপত্রের এক সাংবাদিক একবার বনফুলকে প্রশ্ন করেন, অনেক পুরস্কার তো পেয়েছেন, কোনটিকে জীবনের সেরা পুরস্কার বলে মনে করেন? বনফুল কিঞ্চিৎ ভেবে বললেন, সে অর্থে আমার জীবনের সেরা পুরস্কার কিন্তু অন্যরকম! দুঁদে সাংবাদিকের পাল্টা প্রশ্ন, একটু খুলে যদি বলেন…….. এরপরেই কিছুটা স্মৃতিমেদুর হয়ে বনফুল বলেন, দেখুন – ভাগলপুর রেল স্টেশনের দিকে একপ্রকার দৌড়েই যাচ্ছি, সাথে কুলি আছে – কলকাতা যাবার বিশেষ তাগিদ। কিন্তু রেলস্টেশনে পৌঁছনোর আগেই দেখি – ট্রেন ছেড়ে দিল! এবারে ট্রেন পরদিন -কি করবো ভেবে পাচ্ছি না! এদিকে না গেলেই নয়! এই রকম অবস্থায় হাঁপাতে হাঁপাতে কোনরকমে স্টেশনের ভিতরে একটা বেঞ্চে বসে পড়লাম। ভাবছি – কি করা যায়! এরপরেই বিখ্যাত সাহিত্যিকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল। তিনি বলে চললেন, কিছুক্ষণ পরেই দেখি – যে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনটি (কলকাতা যাবার) ছেড়ে চলে গেল এইমাত্র – ওই প্ল্যাটফর্মেই পিছন দিক থেকে একটা ট্রেন ধীরে ধীরে প্ল্যাটফর্মের দিকে আসছে! কিছুক্ষন পরেই আস্ত ট্রেনটি সামনে এসে দাঁড়ালো! অনেকেই হৈ চৈ করছেন । বলে চললেন কিংবদন্তি সাহিত্যিক বনফুল, এক ভদ্রলোক আমার সামনে এসে বললেন – স্যার আমি আপনাকে চিনি। ডাক্তার হিসেবে তো বটেই, কিন্তু তার থেকেও বেশী করে চিনি কারন আপনার সব কটি লেখাই আমার পড়া। আপনাকে দৌড়াতে দেখেই বুঝতে পেরেছি – কলকাতা যাবার গাড়ি ধরতে আসছেন। আমিই, স্যার এই ট্রেনের ড্রাইভার। তাই আপনার জন্যই গাড়ী ব্যাক করে নিয়ে এলাম। চলুন স্যার, তাড়াতাড়ি চড়ুন! এরপর কতকটা স্বগোক্তির মতোই বলে চললেন, একজন ট্রেনচালক রেল গাড়ী ব্যাক করে আমাকে ট্রেনে তুলে, তারপর আবার সামনের দিকে চলতে শুরু করে। এর চাইতে বড় পুরস্কার কি হতে পারে? আপনার মতামত জানান -