এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বেসুরো নেতাদের নিয়ে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

বেসুরো নেতাদের নিয়ে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল জনসাধারণের কাছে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে যথেষ্ট ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেই মনে করেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেওয়ার ঘটনাও ইতিমধ্যে সামনে এসেছিল।এক্ষেত্রে কারণ হিসেবে দলের নির্বাচনী প্রচারে পিকের কথাও বলা হয়েছিল।

অনেকের দাবি ছিল, নির্বাচনী প্রচারে তাঁর অবস্থান মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই।তবে অন্যদিকে আবার সামনে এসেছিল বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীর নিজের দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই অসন্তোষ প্রকাশের কাহিনী। তাঁরা দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন না বলেই লক্ষ্য করা গিয়েছিল।

সেখানে ইতিমধ্যেই একে একে শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব পদ ছাড়া ও সম্প্রতি বিধায়ক পদের থেকে সরে আসায় তাঁরও দল ছাড়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। তবে একথা স্পষ্ট যে তিনি দল ছাড়লে তাঁর অনুগামী অনেকে নেতা মন্ত্রীই দল ছাড়বেন। সেখানে এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছিল অনেক দলীয় কর্মীকেই।

আর সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গে শোনা গেছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যাযের কটাক্ষ। জানা গেছে, তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে বুধবার বৈঠক করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।আর সেই সুনীল মণ্ডলের বাড়ির বৈঠককে কটাক্ষ করেই মুখ খুলেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যারা যেতে চায় যাক, ধরে-বেঁধে রাখার কিছু নেই। কিন্তু ক্ষোভটা কীসের সেটা বুঝলাম না।” বস্তুত, কালকের ইস্তফা দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী যে তৃণমূল ছেড়ে যাচ্ছেন, এটা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে বলেই দাবি করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে তাঁর সঙ্গে ঠিক কে কে যাচ্ছে, সেটাই এই মুহূর্তের সবথেকে বড় সাসপেন্স বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে বুধবার প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই বৈঠকের ঠিক আগেই বিধায়ক পদ ছাড়েন তিনি। যদিও সেখানে সুনীল মণ্ডল জানিয়েছেন যে, বৈঠকে রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি, তবুও এই বৈঠক নিয়ে জল্পনা থেকেই গেছে। সেখানে অন্যদিকে, এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সুনীল মণ্ডল, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা আসানসোল পুরসভার মুখ্য প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

তাছাড়া কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী,কালনার বিধায়ক ও বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ও বিদায়ী কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। বস্তুত, এদিন সুনীল মণ্ডলের কথায়, রাজনীতির কোনও কথা বৈঠকে হয়নি বলা হলেও আবার জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই রয়েছেন। আর এতেই আরো জল্পনা বেড়েছে।

তবে ক্ষুব্ধ নেতাদের কথায়,তাঁদের ক্ষোভ মূলত পিকের বিরুদ্ধে। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ রয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে সেই প্রশান্ত কিশোরকেই দায়ী করতে দেখা গেছে সুনীলবাবুকে। সেইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য দলবদলের বিষয়ে তাঁদেরকে কিছু বলেননি বলেই দাবি করেছেন এই তৃণমূল সাংসদ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী বুধবারই বিধানসভায় গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে এসেছেন। সেখানে জানা যায়, স্পিকারের অনুপস্থিতিতে তিনি সচিবের কাছে তাঁর হাতে লেখা চিঠি জমা দিয়েছেন। সেইসঙ্গে এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানান যে, পুলিশ তাঁকে ও তাঁর অনুগামীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে চেষ্টা করেছে।

আর স্বভাবতই শুভেন্দু অধিকারীর এই অভিযোগে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়। রাজ্যপালও সেই সঙ্গে এই নিয়ে একটি টুইট করে বিষয়টি স্বীকার করেন। এদিন তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে, এই মর্মে তাঁর কাছে অভিযোগ করে শুভেন্দু অধিকারীর তরফে তাঁর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।

যদিও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফাপত্র গৃহীত হচ্ছে না। কারণ, ইস্তফাপত্র গ্রহণের এক্তিয়ার সচিবের নেই। ফলে শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা-পত্র গৃহীত হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে। সেই সঙ্গে তাঁর দলবদলে আরো কোন কোন কর্মীকে হারাবে তৃণমূল, সেই নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!