এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বেতন জোগাতেই কার্যত দিশাহীন ! চিন্তায় পৌরসভার কর্মীরা !

বেতন জোগাতেই কার্যত দিশাহীন ! চিন্তায় পৌরসভার কর্মীরা !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  আর্থিক মন্দার মুখে পড়ে ভাঁড়ের মা ভবানী মত করুণ অবস্থা হয়ে দাঁড়ালো  কলকাতা পৌরসভার । পৌরসভার কোষাগারের   আর্থিক  অবস্থা এতটাই মন্দার মধ্যে চলছে যে প্রতি মাসে কর্মীদের বেতন দিতে এখন পুরসভার অর্থদপ্তর কার্যত দিশাহীন হয়ে পড়ছে । সূত্রের পাওয়া  খবর  অনুযায়ী জানা গিয়েছে  যে গত মাসের বেতন দিতেই নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল কলকাতা পুরসভার তবে শেষমেশ গতমাসে পৌরসভার কর্মীরা বেতন পেয়েছিলেন । অন্যান্য বছর দেখা গিয়েছে যে পুজোর সময়  মাসের শেষ দিনেই পুরসভার কর্মীরা সমস্ত বেতন পেয়ে থাকেন তবে এই এবারে চলতি মাসের 1 তারিখে বেতন পেলেন পৌরসভার কর্মীরা । সেইসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা পেনশন পেয়েছেন চলতি মাসে  অর্থাৎ এই অক্টোবর মাসের 5 তারিখে  ।

এই অর্থ সংকটের কারণ হিসেবে অর্থ দপ্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন যে পৌরসভার টাকা প্রায় নেই বললেই চলে , রাজস্ব সংগ্রহের ভাটা পড়েছে গত দেড় বছর ধরে যার জন্য এই ধরনের অর্থ সংকটের মধ্যে পড়তে হচ্ছে ।  প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দেশজুড়ে করণা মহামারীর জন্য রাজস্ব আদায়ের হার একেবারেই আশাব্যঞ্জক ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন পৌরসভা দপ্তর থেকে । পৌরসভা সূত্রের মারফত খবর অনুযায়ী জানা যায় যে পৌরসভায় প্রতি মাসের সমস্ত কর্মীদের বেতন দিতে প্রয়োজন হয় প্রায় একশো তেত্রিশ কোটি টাকার মতো যার মধ্যে স্থায়ী কর্মীদের জন্য বরাদ্দ করতে হয় 78 কোটি টাকা এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য 35  কোটি টাকা সেই সঙ্গে কুড়ি হাজার অস্থায়ী কর্মীদের জন্য বরাদ্দ  15 কোটি টাকা ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে  স্থায়ী কর্মীদের মোট বেতনের ৮৫ শতাংশ রাজ্য সরকার বহন করে। বাকি ১৫ শতাংশ পুরসভাকে দিতে হয় এবং অবসরপ্রাপ্তদের পেনশনের ৬০ শতাংশ পুরসভাকেই দিতে হয়। সেই সঙ্গে অস্থায়ী কর্মীদের পুরো বেতনই পুরসভার কোষাগার থেকে যায়। সবমিলিয়ে প্রচুর অর্থের ব্যয় ভার বহন করতে হয় কলকাতা পৌরসভা কে । পৌরসভার অর্থ দপ্তরের এক আধিকারিকের কথায় জানা যায় ”স্থায়ী কর্মীদের তুলনায় অস্থায়ী কর্মীদের সংখ্যা বাড়ায় পুর কোষাগারে চাপ পড়ছে। এর উপরে আনুষঙ্গিক খরচের বহরও কম নয়।” মূলত  রাজস্ব, লাইসেন্স, বিল্ডিং, বিজ্ঞাপন, পার্কিং দফতর থেকে নিয়মিত রাজস্ব আদায় হয় তা কিন্তু গত দেড় বছরে সেই গতি বজায় না থাকায় সঞ্চয় তলানিতে এসে ঠেকেছে মনে করছেন অর্থ দপ্তরের আধিকারিকরা ।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!