এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ভাগাড়ের মাংস কাণ্ডের জের – বিরিয়ানী-কাবাব ছেড়ে নিরামিষাশী হলেন স্বয়ং মেয়র

ভাগাড়ের মাংস কাণ্ডের জের – বিরিয়ানী-কাবাব ছেড়ে নিরামিষাশী হলেন স্বয়ং মেয়র


কলকাতা শহরের এই মুহূর্তের সব থেকে বিতর্কিত খবর ভাগাড় কান্ড। এর জেরে শহরের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বহু নামী দামী মানুষের পথে ঘাটে রোজের খাদ্য তালিকায় উল্লেখ যোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। এই তালিকার বাইরে নেই  বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। পুর নিগমের কর্মীদের মারফত জানা গিয়েছে রোজ বাড়ি থেকে দুপুরের খাওয়ার এলেও , মেয়র সেগুলি নিজে না খেয়ে অন্যদেরকে দিয়ে দিতেন। এবং তিনি নিজে তাঁর পছন্দের কাবাব- বিরিয়ানী আনিয়ে খেতেন। কিন্তু শহরে ভাগাড় কান্ডের ঘটনার সুবাদে মেয়র বিধাননগর পুরনিগমের কোনও বৈঠকের খাদ্যতালিকায় মাংসের পদ রাখা যাবে না বলে এক প্রকার নিষেধাজ্ঞা জারী করলেন। শনিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়াকে সাক্ষাৎকারে বিধাননগর পুর নিগমের মেয়র সব্যসাচী দত্ত ভাগাড় থেকে উদ্ধার করা মাংস শহরের বিভিন্ন হোটেল , রেস্ট্রুরেন্ট এ সরবরাহ এবং সাধারণ মানুষের সেই রান্না করা মাংস সানন্দে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বললেন,  “এতদিন কী মাংস খেয়েছি সেটা ভাবলেই তো আতঙ্ক হচ্ছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

আপাতত সকলের স্বার্থেই পুরনিগমের যে কোনও বৈঠকের খাদ্যতালিকা থেকে মাংসের পদ বাদ দেওয়া হচ্ছে।”  শুধু মাংসের পদ বলেই নয় জানা গিয়েছে মাছের পদও এড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিধাননগর পুরনিগমের বৈঠক চলাকালীন খাদ্য তালিকায়। এই প্রসঙ্গে সব্যসাচী বাবু বললেন, ”পনীর হতে পারে। নিরামিষ অন্য কোনও পদ হতে পারে। চিংড়ি কিংবা অন্যান্য মাছ নিয়েও তো বিতর্ক হচ্ছে।”  সব্যসাচী বাবু জানালেন পুরনিগম এলাকায় খাবারের গুণগত মান পরীক্ষায় কোনও ফাঁক রাখতে চাননা তিনি। এদিন তিনি বললেন, ”স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদের নেতৃত্বে একটি দল সল্টলেকের বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোঁরায় নিয়মিতভাবে তল্লাশি চালাবে।”  প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সংবাদমাধ্যমে ভাগাড়-কাণ্ডের জেরে এরমধ্যেই সল্টলেকের কয়েকটি হোটেল, রেস্তোঁরার নাম উঠে এসেছে। ঐসব রেস্তোঁরায় মাংস-মাছের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য ফুড ইনস্পেক্টর চেয়ে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বললেন, ” কিছু দিনের জন্য হলেও একজন ফুড ইনস্পেক্টর প্রয়োজন। আমরা স্বাস্থ্য দফতরকে বলেছি। ফুড ইনস্পেক্টর না হলে হাতে-কলমে কিছু প্রমাণ করা যাবে না।”  উল্লেখ্য পুরনিগমের একতলায় ক্যান্টিন রয়েছে। সেখানেও মাংসের বিভিন্ন পদ বিক্রি হয়। সেখানে কি কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে মেয়র বললেন,  ”ওই ক্যান্টিনে ফ্রিজার নেই। ফলে পচা মাংস সেখানে থাকার সম্ভাবনা নেই। তা সত্ত্বেও ক্যান্টিন যাঁরা চালান, তাঁদের মাংসের গুণগত মান বজায় রাখতে সতর্ক করা হয়েছে।”

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!