এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সহায়িকা নিয়োগে ব্যাপক দূর্নীতি! ভাইপোর বিরুদ্ধে পরিবারেরই অভিযোগে সরগরম তৃণমূলের অন্দরমহল

সহায়িকা নিয়োগে ব্যাপক দূর্নীতি! ভাইপোর বিরুদ্ধে পরিবারেরই অভিযোগে সরগরম তৃণমূলের অন্দরমহল

 

ইংরেজবাজার পৌরসভা এবং পুরাতন মালদা পৌরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলরদের আনা অনাস্থা কিছুদিন আগেই শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। পরবর্তীতে অবশ্য রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সেই সমস্যার কিছুটা সমাধান হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূলের অন্দরে নেতায়-নেতায় তৈরি হওয়া দ্বন্দ্ব এবার যেন ব্যক্তিগত সম্পর্কেও ফাটল ধরাতে শুরু করল।

সূত্রের খবর, পৌরসভা নির্বাচনের আগে পুরাতন মালদা পৌরসভা এলাকায় এসএসকেগুলোতে সহায়িকা নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে বলে প্রাক্তন বনাম বর্তমান চেয়ারম্যান একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করেছেন। জানা গেছে, এই পুরাতন মালদা পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন বিভূতি ঘোষ। যিনি বর্তমান চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষের সম্পর্কে কাকা হন।

আর প্রাক্তন বনাম বর্তমানের এই দ্বন্দ্ব এবার কাকা-ভাইপোর সম্পর্কে ফাটল ধরাতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যা নিয়ে এখন পৌরসভা নির্বাচনের আগে সরগরম পুরাতন মালদা এলাকা। কিন্তু তারা একে অপরের বিরুদ্ধে ঠিক কি অভিযোগ করছেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে বর্তমান পুরোবোর্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়ে প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিভূতিভূষণ ঘোষ বলেন, “এসএসকে সহায়িকা নিয়োগ নিয়ে তৃণমূলের বা কংগ্রেসের বোর্ড দায়ী ছিল না। আমি এর আগে কংগ্রেসের পুরোবোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলাম। সেসময় এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তার দায় বাম পরিচালিত পুরোবোর্ড এবং তৎকালীন চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ সুকুলের উপরই বর্তায়। 2014 সালে যখন আমরা খুব কম সময়ের জন্য দায়িত্ব পাই, তখন অতিরিক্ত সহায়িকা নিয়োগ হয়েছিল। তখন উন্নয়নের স্বার্থে আমরা তাদের সরাতে পারিনি। কিন্তু এখনও তারা বহাল রয়েছেন। কেন তাদের সরানো হয়নি, সেটা বর্তমান চেয়ারম্যান বলতে পারবেন। এটা তারই জবাব দেওয়া উচিত।” অর্থাৎ প্রাক্তন চেয়ারম্যান উল্টে বিগত বামেদের বোর্ডকে যেমন দায়ী করলেন, ঠিক তেমনই বর্তমান পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান তথা তার ভাইপো কার্তিক ঘোষকেও কাঠগড়ায় তুলে দিলেন বলে মত বিশ্লেষকদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা এদিন এই প্রসঙ্গে কার্তিক ঘোষ বলেন, “প্রথম তৃণমূলের বোর্ডে যে নিয়মে সহায়িকা নিয়োগ করা হয়েছিল, এখনও সেই নিয়ম চলে আসছে। নিয়োগ নিয়ে যে পুরবোর্ডের সময় অনিয়ম হয়েছে, তারাই এই বিষয়ে ভালো বলতে পারবে। তবে আমার সময় কোনো দুর্নীতি হয়নি। স্বচ্ছভাবে পৌরসভার সমস্ত কাজকর্ম চলছে।”

কিন্তু পুরাতন মালদা পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিভূতিভূষণ ঘোষ যেভাবে এই পৌরসভার বামেদের চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ সুকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন, সেই অভিযোগের কি সারবত্তা রয়েছে! এদিন এই প্রসঙ্গে বিশ্বনাথবাবু বলেন, “আমার সময় সরকারি সার্কুলার মেনেই বেশকিছু ওয়ার্ডের সহায়িকা নিয়োগ করা হয়েছিল। অনেকের বয়স 40 বছরের কম ছিল। কেননা নিয়ম মতো 40 বছরের উর্ধ্বে সহায়িকা পাওয়া যায়নি। পরে বিভূতিবাবু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিছু সহায়িকাদের বসিয়ে দেন। বর্তমান পুরবোর্ড তাদের বহাল করেনি। তাই তিনি যে কথা বলছেন, তা ভিত্তিহীন। আমি বেআইনি কিছু করিনি।”

তবে এসএসকে সহায়ক নিয়োগ নিয়ে যে বা যারা এই তরজা করছেন, তারা সকলেই কোন না কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি একাংশের। আর তাইতো এবার পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেল যে, কাকা বনাম ভাইপোর দ্বন্দ্বে প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে হল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!