এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ভাইপোর সঙ্গে দূরত্ব কমছে না কিছুতেই? বিধানসভার আগে অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূল পরিবারে?

ভাইপোর সঙ্গে দূরত্ব কমছে না কিছুতেই? বিধানসভার আগে অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূল পরিবারে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দেখা যায়, তৃণমূলের হাত থেকে উত্তরবঙ্গ পুরোপুরি বেরিয়ে যায়। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, তৃণমূলের হাতে একটি আসনও আসেনি উত্তরবঙ্গে। সে জায়গায় সাধারণ মানুষ ভোট বাক্স ভরিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। কিন্তু এবার বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গকে আবার নিজেদের আয়ত্তে আনার পালা। আর সে কারণেই এবার উত্তরবঙ্গ নিয়ে বিশেষ চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বাধ সেধেছে অন্যত্র।

উত্তরবঙ্গের তৃণমূল শিবিরে কিন্তু রীতিমতো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বিরাজমান। আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে সঙ্গে করে তৃণমূলের জয় ছিনিয়ে আনা যে নিতান্তই দুষ্কর তা এক বাক্যে মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা। সম্প্রতি কোচবিহার জেলা তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন পার্থ প্রতিম রায়। অন্যদিকে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখ্য নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। মূলত পার্থপ্রতিম রায় এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষ রাজনৈতিক জগতে কাকা ভাইপো নামে পরিচিত।

কিন্তু এই কাকা ভাইপোর মধ্যেই এবার শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে পার্থ প্রতিম রায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে তাঁর ‘রাজনৈতিক গুরু’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতে যাবেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এরকম কিছু ঘটেনি বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন দল যেভাবে চলছে, তা নিয়ে মোটেও খুশি নন তিনি। আর এ ব্যাপারে তিনি রাজ্য নেতৃত্ত্বের কাছে রিপোর্ট দেবেন বলেও জানিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের হরিণচওড়ায় কোচবিহার তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কার্ডে অনুমতি না নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নাম ছাপা হয়। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। যথারীতি এ ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ তাঁর ক্ষোভ লুকিয়ে রাখেননি। তবে পার্থপ্রতিম রায় এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন। বরং তিনি জানিয়েছেন, লক্ষ্য একটাই- বিজেপিকে সরানো। আর তাই সবাই দলের গাইডলাইন মেনেই কাজ করছে।

একসময় তৃণমূল কংগ্রেসকে কোচবিহার জেলায় শীর্ষস্থানে নিয়ে গেছিলেন দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, আর সেকথা সবাই মানেন। পার্থপ্রতিম রায় কোচবিহারের দলীয় সভাপতি হয়ে ঘোষণা করেছিলেন, তিনি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চান। আর সে প্রসঙ্গেই তিনি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বাড়ি যাবার কথা বলেন। যদিও তারপর আর সেরকম কিছু ঘটেনি। অন্যদিকে তৃণমূল শিবিরের অনেকেই জানাচ্ছেন, বর্তমান তৃণমূল সভাপতি জেলা জুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করলেও অনেক বিধায়ককেই জেলা সভাপতির পাশে দেখা যাচ্ছেনা।

বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূল শিবিরের অন্দরে একটা ফাটল তৈরি হয়েছে কোচবিহারে। তবে পার্থপ্রতিম রায় পুরো ব্যাপারটি অস্বীকার করে জানিয়েছেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কিছু মানুষ এ ধরনের গুজব রটাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দলীয় নেতৃত্ব যদি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে দল। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় খুব স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতির সুযোগ পুরোপুরি নেবে বিরোধীরা বলে মনে করেন রাজনৈতিক মহলের একাংশরা। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সাংগঠনিক রদবদলের হাত ধরে তৃণমূল শিবিরে পরিবর্তন এনেছেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!