প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে মোদি বিরোধী দলের প্রায় সবাই। কার্যত 24 এর লোকসভা নির্বাচনে মোদী শাসনের অবসান করতে উঠে পড়ে লেগেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক এই অবস্থায় যখন প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশে দাঁড়ানোর কথা, তখন দাদার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন তাঁরই ভাই প্রহ্লাদ মোদি। আর ঠিক এই জায়গাতেই চরম অস্বস্তির মুখে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদির ভাই প্রহ্লাদ মোদী অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি।

কার্যত রেশন ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে এদিন তিনি বলেছেন, নিজেদের দাবি-দাওয়া সঠিকভাবে সরকারের কাছে তুলে ধরতে। যদি সরকার্রের পক্ষ থেকে দাবি না মানেন, তাহলে এরপর থেকে যেন কেন্দ্রীয় সরকারকে কেউ জিএসটি না দেয়। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রহ্লাদ মোদির এই জিএসটি  না দেবার হুঁশিয়ারি কার্যত খবরের শিরোনামে। রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠানেও উপস্থিত হয়েছিলেন প্রহ্লাদ মোদি।

আর সেখানেই তিনি রেশন ব্যবসায়ীদের পক্ষ নিয়ে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারকে। এদিন প্রহ্লাদ যোশী উপস্থিত সমস্ত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সঠিকভাবে বিক্ষোভ দেখাতে হবে নরেন্দ্র মোদি সরকার কিংবা উদ্ধব ঠাকরে সরকারের সম্মুখে। প্রসঙ্গত, আগেও বিভিন্নসময় কেন্দ্রের একাধিক নীতির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে এই প্রহ্লাদ যোশীকে। এমনকি তাঁকে কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনের জন্য গ্রেপ্তারও হতে হয়েছে একসময়।

2019 এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ‘জেল ভরো’ আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর এই ছোট ভাই। কার্যত আবারও তিনি নতুন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে যে বিরম্বনায় ফেললেন তা বলাইবাহুল্য। কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রহ্লাদ যোশী নিজেকে একজন বিক্ষুব্ধ নেতা হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করছেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ছোট ভাইয়ের বিদ্রোহকে এবার কিভাবে সামাল দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখন সেটাই দেখার।