এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ভাঙা সেতুতে দুঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য বাঁচলেন হেভিওয়েট বিধায়ক! শুনলেন সারাবার টাকা নেই!

ভাঙা সেতুতে দুঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য বাঁচলেন হেভিওয়েট বিধায়ক! শুনলেন সারাবার টাকা নেই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি মালদহ জেলার হরিশচন্দ্রপুরের তুলসিহাটা অঞ্চলে মরা মহানন্দা নদীতে কলাবাড়ি সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি করে পার হচ্ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের কংগ্রেসি বিধায়ক মোস্তাক আলম। জীর্ণ এই সেতু পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনা থেকে কোনক্রমে রক্ষা পায় তাঁর গাড়ি। কলাবাড়ি সেতুর এমন দুরাবস্থা লক্ষ্য করে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন বিধায়ক। তৎক্ষণাৎ তিনি ফোন করেন জেলা প্রশাসনকে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ” সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে কি হুঁশ ফিরবে প্রশাসনের’’।

কলাবাড়ি সেতুর অবস্থা জীর্ণ ও বিপদজনক। যে কোন সময়ে এটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা আছে। এই সেতু মেরামতের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার দাবি জানিয়েও কোনো সুরাহা পাননি।কলাবাড়ি সেতুর এমন জীর্ণ অবস্থার প্রতি বিধায়ক মোস্তাক আলম জানিয়েছেন, ‘‘ সেতুর মাঝখানে ভেঙে গিয়েছে। অথচ প্রশাসনের হুঁশ নেই ভাবতেই অবাক লাগছে। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের জানিয়েছি।’’

প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন আগে জেলার তরফ থেকে এই এলাকার বিভিন্ন জীর্ণ ও বেহাল হয়ে পড়া সেতুর বিষয়ে জানতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছিল। এই এলাকার কলাবাড়ি সেতুটি ছাড়াও হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালের কাছেই বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে রামরাইঘাট সেতুটি। এই সেতুটির দ্রুত সংস্কারের আর্জি জানিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে জেলার কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এলাকাবাসীরা জানিয়েছে, চার বছর আগে তুলসীহাটা-কুশিদা রাজ্য সড়কের মস্থান গড় থেকে মোবারকপুর পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হলেও, মস্তান মোড়ের কাছেই কলাবাড়ি সেতুর কোনরকম মেরামত করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনাতে রাস্তা পাকা করার সময় নতুন সেতুটি সংস্কারের দাবি উঠলেও পরিকল্পনাতে নেই বলে সেটির কোনো সংস্কার করা হয়নি। এরপর গত ২০১৭ সালের বন্যায় সেতুটি আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

অন্যদিকে, তুলসীহাটা, রশিদাবাদ ও বরুই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ৩৫ টিরও বেশি এলাকার লাখেরও বেশি মানুষ নিত্য যাতায়াত করছেন এই সেতুর উপর দিয়ে। প্রসঙ্গত, হরিশ্চন্দ্রপুরের এই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। ক্ষতিগ্রস্ত এই সেতুর মাঝের কিছু অংশ ভেঙে গর্ত হয়ে গেছে। ফলে বড় কোন গাড়ি এই সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে পারে না। রাতের অন্ধকারের সেতুর মাঝের গর্তে সাইকেলের, বাইকের চাকা আটকে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন।

এই সেতুর সংস্কার প্রসঙ্গে মালদহ জেলা পরিষদের তৃনমূল সদস্য সন্তোষ চৌধুরী জানান,” বিধায়কও তো উন্নয়ন তহবিল থেকে সেতু সংস্কারে উদ্যোগী হতে পারেন।’’ বিধায়ক বলেন, ‘‘উন্নয়ন তহবিলে যা বরাদ্দ মেলে তা দিয়ে সব কিছু করা সম্ভব নয়। সেটা সময়সাপেক্ষও। জরুরি ক্ষেত্রে প্রশাসনকেই উদ্যোগী হতে হবে।’’ এ প্রসঙ্গে এলাকাবাসীদের প্রশ্ন, বিধায়ক সেতুর এই জীর্ণ অবস্থা লক্ষ করে প্রশাসন, শাসক দলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেও, নিজের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের অর্থ থেকে তিনি কেন এই সেতুর সংস্কারের উদ্যোগ নেননি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!