এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > এবার এক টুকরো ভাঙড় উঠে এল অধিকারী-গড়ে! পাওয়ার-গ্রিড নিয়ে তুলকালাম, প্রতিবাদ ঠেকাতে পুলিশের ‘লাঠিচার্জ’

এবার এক টুকরো ভাঙড় উঠে এল অধিকারী-গড়ে! পাওয়ার-গ্রিড নিয়ে তুলকালাম, প্রতিবাদ ঠেকাতে পুলিশের ‘লাঠিচার্জ’


পাওয়ার গ্রীড নিয়ে ভাঙ্গড়ের অশান্তি এবং রণক্ষেত্রের ঘটনা কারোই অজানা নয়। এবার চন্দ্রকোনা রোডে সেই পাওয়ার গ্রিডের কাজ নিয়েই প্রবল উত্তেজনা ছড়াল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গ্রিড কর্পোরেশনের 765 কেভিএর একটি সাবস্টেশন তৈরি করা হচ্ছে এই এলাকায়।

জানা যায়, প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস আগে এখানকার 83 একর জায়গায় গ্রিড কর্পোরেশনের তরফ কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু এখানকারই সরকারি জমিতে অনেক কাজু বা ফলের বাগানের পরিচর্যা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন সাইনারা বুড়ামারা গ্রামের বাসিন্দারা। ফলে এখানে পাওয়ার গ্রীড হওয়াতে তারা সমস্যায় পড়েছেন বলে দাবি এখানকার বাসিন্দাদের। আর তাই মঙ্গলবার এখানে এই গ্রিড প্রকল্পের কাজ শুরু হলে আন্দোলনে শামিল হল সেই বাসিন্দারা।

এমনকি বুধবার স্থানীয় প্রশাসন ও বিডিও অফিস থেকে তাদের ডেকে পাঠালেও তারা কেউ সেখানে হাজির হননি। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে যাতে গ্রিড প্রকল্প এলাকায় স্থাপন করা যায় সেই জন্য বাধ্য হয়েই বিডিও এবং গ্রিড কর্পোরেশনের কর্তারা সাইনারা গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনাও সারেন। তবে অবস্থার কোনরূপ পরিবর্তন হয়নি।

শুক্রবার এই গ্রিড প্রকল্পের কাজে স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে বাধা দেওয়া হলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের প্রবল বচসা বাধে। আর এরপরই সাইনারার দিলীপ দাস সহ আটজনকে আটক করে পুলিশ। এদিকে এদিন গ্রামবাসীদের এহেন আন্দোলনে লাঠিচার্জেরও অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, গ্রামবাসীদের এই আন্দোলনে ইন্ধন যোগাচ্ছে বহিরাগতদের একটি দল।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া ও জেলাশাসক পি মোহন গান্ধী বলেন, “ওখানে একটি সমস্যা হয়েছে। আমরা আলোচনার মধ্য দিয়ে সুষ্ঠুভাবে এই সমস্যা মেটাতে চাই। কিছু লোক ইচ্ছে করে অশান্তি পাকাতে চাইছে।” অন্যদিকে এই পাওয়ার গ্রীড করতে না দেওয়ার দাবিতে এখানকার বাসিন্দা সোমা মান্ডি, সোনালী মান্ডিরা বলেন, “সবুজ ধ্বংস করে পাওয়ার গ্রীড হচ্ছে। তাই এই কাজ আমরা করতে দেব না। পুলিশ প্রচন্ড অত্যাচার করেছে আমাদের উপরে। আমরা এই কাজ বন্ধ করতে যত বড় আন্দোলন করতে হয় করব।” সব মিলিয়ে ফের ভাঙ্গড়ের প্রতিচ্ছবি দেখা গেল চন্দ্রকোনায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!