দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে ভাঙড়ের আন্দোলনে কি রফাসূত্র মিলতে চলেছে? জল্পনা তুঙ্গে মেদিনীপুর রাজ্য July 23, 2018 দীর্ঘ দিনের নৈতিক অস্থিরতার অবসান হতে চলছে ভাগড়ের পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পে। প্রসঙ্গতঃ সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ এতদিন অবধি এই প্রকল্প নির্মানের জন্যে সরকারের বিরোধীতা করে এসেছে। কিন্তু সরকারের ইতিবাচক ভূমিকার কাছে নিজেদের জেদ বজায় রাখতে না পেরে শেষ অবধি আলোচনায় বসতে রাজী হয় আন্দোলনকারীরা। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এদিকে সরকারী সূত্রে জানা গিয়েছে প্রশাসন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পারস্পরিক বোঝাপড়ায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে। জমিহারাদের জন্য ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন-সহ একটি প্যাকেজের পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুসারে সব কিছু চললে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এই প্রক্রিয়াটি চুড়ান্ত হবে। যদিও আন্দোলনকারীদের একাংশের মতে সরকারের প্রস্তাবে প্রথমেই সম্মতি না জানিয়ে সেই প্রস্তাবের ভালো মন্দ দুই দিকই খতিয়ে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পাওয়ার গ্রিডের কর্তাদের সাথে আন্দোলনকারীদের তরফে অলীক চক্রবর্তী, শর্মিষ্ঠা চৌধুরী, বিশ্বজিত্ হাজরার সহ ৪৫ জন গ্রামবাসী একত্রে বৈঠকের সম্ভবনা রয়েছে। নবান্ন ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ভাঙড়ে পাওয়ারগ্রিড প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য একটি সামগ্রিক প্যাকেজ তৈরী করছে রাজ্য সরকার। ঐ এলাকার একটি রাস্তার নির্মান নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গ্রামবাসীদের আর্জি ছিলো। সরকারী সূত্রে জানা গিয়েছে সেই ১৮ কিলোমিটার রাস্তা ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনর্নির্মাণের কাজেও হাত দেওয়া হয়েছে। এদিন আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে শর্মিষ্ঠা চৌধুরী বললেন , ”পাওয়ার গ্রিড মেনে নেওয়ার প্রশ্ন নেই। তবে দু’দিন আগে সংশোধিত পরিকল্পনার প্রস্তাব এসেছে সরকারের দিক থেকে। আলোচনা চলছে।” তবে গোটা সমঝোতা আলোচনায় সব থেকে সংবেদনশীল অংশ হলো আন্দোলনকারীরা দাবি করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে নিতে হবে সরকারকে। প্রসঙ্গতঃ ভাঙড়ে জমি আন্দোলনের সময়ে বিভিন্ন ধারা আরোপ করে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে ফৌজদারি মামলা সব রাতারাতি তুলে নেওয়া সম্ভব নয়। রাজনৈতিক মহলের মতে এদিনের বৈঠককে কেন্দ্র করে তাই অনেক কিছুই নির্ভর করছে। আপনার মতামত জানান -