এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > ভাঙড়ে বিদ্যুত্‍ সাবস্টেশন নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিদ্যুত্‍মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়

ভাঙড়ে বিদ্যুত্‍ সাবস্টেশন নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিদ্যুত্‍মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়

ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রীড নির্মানকে কেন্দ্র করে আর কোনো আন্দোলন , আইনী জটিলতা নয় । এবার আলোচনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থানীয় মানুষদের  ‘ভ্রান্ত ধারণা’র অবসান ঘটিয়ে বিদ্যুতের সাবস্টেশনের কাজ চালু হতে চলেছে। জানা যাচ্ছ এসব কিছু ঠিকমতো চললে, অবিলম্বেই এই প্রকল্পে কাজ শুরু হবে।

প্রসঙ্গত, সরকার এবং আন্দোলনকারীদের মধ্যেকার বিরোধ দূর করতে ইতিবাচক ভূমিকা নিলো প্রশাসন। স্বয়ং বিদ্যুৎ মন্ত্রী   শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। রবিবার তিনি এই প্রসঙ্গে নিজের মতামত জানিয়ে বললেন, সমস্যার সুষ্ঠ সমাধানের জন্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে একটি দল গঠন করে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা  বিদ্যুত্‍ সাবস্টেশন এলাকার সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

একই সাথে রাজ্যের মন্ত্রী নিজেও অনেক আশাবাদী তা নিজেই জানিয়েছেন । জানা যাচ্ছে সমস্ত ভুলবোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে একদা আন্দোলনকারী জমি কমিটির সদস্যরাও বিশেষ তৎপর হয়ে উঠেছেন। এদিকে পাওয়ার গ্রীড কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে গ্রামের মানুষের জীবন-জীবিকার কথা গুরুত্ব দিয়ে ঐ বিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি পরিবর্তিত রূপরেখা তৈরী করা হয়েছে। উল্লেখ্য সেই নতুন পরিকল্পনায় মাত্র ৪টি টাওয়ার বসানো এবং প্রায় ১ কিলোমিটার বিদ্যুতের তার টানা বাকি রয়েছে। জানা যাচ্ছে দুপক্ষের আলোচনায় স্থির হয়েছে বিদ্যুতের তার মাটি থেকে ৯ মিটার উচ্চতার পরিবর্তে ১২ মিটার উচ্চতায় বাঁধা হবে।  দু পক্ষই মনে করছে ৪টি টাওয়ার ও তার টানা হয়ে গেলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হলে উত্তর এবং দক্ষিণ দুই ২৪ পরগণা সহ পার্শ্ববর্তী জেলা গুলির বিদ্যুৎ সঙ্কট অনেকটাই লাঘব হবে বলে জানা যাচ্ছে। জেলা প্রশাসন ওই ৪টি টাওয়ার করার জন্য জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনাও নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রাজারহাট নিউটাউন সংলগ্ন এই প্রকল্পের কাজ চালু হলে এলাকার উন্নতি সহ লাকার শিক্ষিত যুবক-যুবতী ও কৃষকদের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে বলেও জানা গিয়েছে। পাওয়ার গ্রিড নিয়ে মানুষের ‘ভ্রান্ত ধারণা’ দূর করতে ঐ এলাকার প্রত্যেক বাড়িতে  ‘‌আলোর ভুবন’‌ শীর্ষক একটি লিফলেট ও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আরও কয়েক দফা বৈঠক এবং একটি লিখিত চুক্তি হওয়ার কথা আছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!