এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভারত বনধের তীব্র সমালোচনা করলেন একদা বনধ সমর্থনকারী মুখ্যমন্ত্রী

ভারত বনধের তীব্র সমালোচনা করলেন একদা বনধ সমর্থনকারী মুখ্যমন্ত্রী


বুধবার সারা ভারতজুড়ে বাম কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের ডাকা বনধে সকাল থেকেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গ জেলা জুড়ে। সম্প্রতি বেশকিছু ঘটনা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই বাম-কংগ্রেস নির্বিশেষে এই বনধ ডাকে। সারা দেশজুড়ে সিএএ নিয়ে তীব্র আন্দোলন চলছে। তার মাঝেই এই বনধ। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এই বনধকে সমর্থন জানাননি। সকাল থেকেই জেলা জুড়ে নানান রকম অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। বনধ সমর্থকদের আটকাতে পুলিশও তাঁদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে।

বুধবার বাম ও কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের ডাকা বনধে পশ্চিমবঙ্গ জেলা জুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বাস ভাঙচুর করা হয়েছে, কোথাও বোমা রাখা হয়েছে, কোথাও পুলিশের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। বারাসাত থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা রেল্লাইনের ওপর থেকে। বনধের মধ্যে দিয়ে বাম কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা যে হিংসা ছড়াচ্ছে চারিদিকে, তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, বনধের নামে গুন্ডাগিরি কখনোই বরদাস্ত করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন এ রাজ্যে বনধ সফল হয়নি। কিন্তু বনধের নামে রীতিমতো গুন্ডাগিরি চালানো হয়েছে। গাড়ি জ্বালানো থেকে শুরু করে বাস ভাঙচুর, ট্রেনের তলায় বোমা রাখা ইত্যাদি।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী বন্ধ ডাকার জন্য বাম দলকে যথেষ্ট ভর্ৎসনা করে বলেন,’বনধের নামে গুন্ডাগিরি হয়েছে। কোথাও গাড়ি জ্বালিয়েছে, কোথাও ট্রেনের নিচে বোমা রেখেছে। বাংলায় এসব বরদাস্ত করা হবে না। বছরে চারবার করে বন্‌ধ ডাকে সিপিএম। এই করতে করতে দলটা রাজ্যে সাইন বোর্ড হয়ে গিয়েছে। এর চেয়ে কেরলের সিপিএম অনেক ভাল।’ মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরো বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির কথা ভাবতে হবে। বনধে জন্য একজন দোকানদার একজন কর্মচারী এদের কথা ভাবতে হবে। এই বনধের ফলে কত ক্ষতি হচ্ছে।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এনআরসি নিয়ে সারাদেশে তুমুল বিক্ষোভ চলছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি নিয়ে তুমুল বিক্ষোভকে সমর্থন করলেও বনধকে তিনি সমর্থন করেননা, তা আগেই জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মতে গুন্ডাগিরি করে প্রতিবাদ করা যায় না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ট্রেনের নিচে বোমা রেখে, বাইক পুড়িয়ে, বাস ভেঙে গুন্ডাগিরি। বনধের নামে গুন্ডাগিরি করতে দেওয়া হয়নি, হবেনা। আমি সিপিএমের মতো গুলিপন্থায় বিশ্বাস করি না। মারপিট পন্থায় বিশ্বাস করি না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করুন। রাস্তায় নামুন। প্রতিবাদের অনেক ভাষা আছে।’

উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন, তখন তিনি এ রাজ্যে প্রচুর বনধ করেছেন। কিন্তু রাজ্যের শাসকের আসনে বসার পর থেকেই তিনি কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন। যে কারণে তিনি এ রাজ্যে কোন বনধ মানেন না। বরং পশ্চিমবঙ্গের কোন রাজনৈতিক দল বনধ ডাকলে তিনি তা রীতিমতো বিজ্ঞাপন জারি করে প্রতিবাদ জানান। অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফেও বনধ আটকাতে বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নেওয়া হয়। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

এদিন বন্ধের সফলতা দাবি করেছে বাম কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের দোকানপাট বন্ধ ছিল সকাল থেকেই। এমনকি যান চলাচল করেনি রাস্তায়। অন্যদিকে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে জনজীবন স্বাভাবিক ছিল। তবে ট্রেন অবরোধ করার পরেও সরকারের তরফ থেকে অতিরিক্ত যানবাহন দেওয়া হয়েছিল। তবে এদিন বিভিন্ন জায়গায় বনধ সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। বনধ সমর্থকদের ওঠানোর চেষ্টা করলে পুলিশ, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বাম শিবির এই বনধকে কেন্দ্র করে এ রাজ্যে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর সফল চেষ্টা চালালো। আপাতত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!