ভারত-চীন যুদ্ধের আবহে বড়সড় পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর! দেশজুড়ে তীব্র হচ্ছে জল্পনা আন্তর্জাতিক জাতীয় July 3, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দিনদিন চীনের সাথে ভারতের উত্তেজনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত 15 জুন ভারত চীন আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিয়ে তুমুল সংঘর্ষ হয়ে যায়। এই সংঘর্ষের জেরে এখনো পর্যন্ত ভারতের কুড়ি জন জওয়ান শহীদ হয়েছেন বলে খবর। আর তারপরই পরিস্থিতি চরম উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দেশের সাধারণ মানুষ এবং সীমান্তে জওয়ানদের মনে তীব্র ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে মুহুর্মুহু। এই পরিস্থিতিতে ভারত-চীন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমশ তীব্র হচ্ছে জল্পনা। আর তার মধ্যেই এবার পরিস্থিতি সরেজমিনে তদন্ত করতে শুক্রবার সকালে আচমকা সরাসরি লাদাখ পৌঁছালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। ইতিমধ্যেই যদিও চীনকে শায়েস্তা করতে ভারতের পক্ষ থেকে বিশেষ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন সূত্রে মনে করা হচ্ছে, সেনাবাহিনীর মনোবল বাড়াতে তিনি পৌঁছালেন লাদাখ। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন লাদাখ পৌঁছেছেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। এছাড়াও আরও অনেক বরিষ্ঠ আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৌঁছেছেন লাদাখ পরিস্হিতি যাচাই করতে। প্রসঙ্গত, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এর গত বৃহস্পতিবার লাদাখ পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশেষ কারণবশত প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সেই কর্মসূচি বাতিল হয়ে যায়। সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এর সঙ্গে শুক্রবার সেনাপ্রধান এমএম নরবানেরও যাওয়ার কথা ছিল লাদাখে। অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী যদি আজ লাদাখ যেতেন, তাহলে ভারত এবং চীনের উত্তেজনাময় পরিস্থিতির মধ্যে এটাই ওনার প্রথম সফর হত। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - উপরন্তু সেনাদের মনোবল বাড়ত বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আচমকা যেভাবে লাদাখ সফরে বেরিয়ে গেলেন, তাতে বিশেষজ্ঞদের মতে প্রধানমন্ত্রীকে সীমান্তে দেখে সেনাবাহিনীর মনোবল প্রায় দ্বিগুণহারে বৃদ্ধি পাবে। জানা গেছে, এর আগে স্থল সেনাপ্রধান জেনারেল নরবান গত 23 এবং 24 শে জুন লাদাখ সীমান্তে গিয়েছিলেন। এবং সেখানে তিনি সেনা জওয়ানদের সম্মানিত করেন বলে খবর। এরপর তিনি দিল্লি এসে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেন। এখনো পর্যন্ত খবর, সীমান্তে ভারত এবং চীন সেনাপ্রধানদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক চলছে। কিন্তু তাও উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার কোন ছবি এখনো চোখে পড়েনি। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপক্ষের কমান্ডাররা বৈঠকে বসেছিলেন। কিন্তু সেই বৈঠকে যে কোনরকম রফাসূত্র মেলেনি সে কথা পরিষ্কার। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর হঠাৎ লাদাখ সফর ঘিরে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত-চীন যুদ্ধের আবহে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মনোবল বৃদ্ধি করার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর এরূপ পদক্ষেপ। অন্যদিকে ভারতের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত চীনকে যথেষ্ট চাপে ফেলার হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে চীনকে ব্যাবসায়িক দিক থেকে বাদ দেওয়ার জন্য চিনার সাথে একাধিক প্রজেক্ট বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলে খবর। এছাড়া ভারতের বুক থেকে সম্প্রতি 59 টি চিনা অ্যাপ্লিকেশন পুরোপুরি মুছে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদী ডাক দিয়েছেন ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত সমস্যার জল কোন দিকে গড়ায় সেদিকেই এখন নজর রাখছে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -