ভারত-চীন যুদ্ধ শুরু কি সময়ের অপেক্ষা? ভারতীয় সেনাপ্রধানের নতুন পদক্ষেপে জল্পনা চরমে আন্তর্জাতিক জাতীয় September 3, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি চীন যেভাবে আগ্রাসন নীতি নিয়ে চলছে তাতে যে যুদ্ধের দামামা বাজতে আর বেশি দেরি নেই, সেটা বেশ ভালো করেই বোঝা যাচ্ছে। এতদিনের এত কথা বার্তার পরও নিজেদের আগ্রাসন নীতিকে দমন করতে কার্যকর হচ্ছে না তারা। এতদিন করোনা ভাইরাস নিয়ে সারা দেশের কুৎসা কুড়ানোর পরও তাদের মধ্যে নতুন করে লড়াই করার প্রবণতা দেখে বেশ অবাকই হতে হচ্ছে। ঘটনা শুরু হয়েছিল জুন মাসের ১৫ তারিখ। লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সেদিন হয়েছিল ভারত-চিন সংঘর্ষ। আর তাতেই ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। আর তারপর থেকেই লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে ভারত-চিনের মধ্যে সেনা ও প্রশাসনিক স্তরে অনেকবার আলোচনা চলেছে। দুপক্ষই নিজেদের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে রাজি হয়ে সম্মতিও জানিয়েছিল। কিন্তু সেই কথা রাখেনি চীন। এরপর আবার আগের মাসে অর্থাৎ আগস্ট মাসের ৩১ তারিখ পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে ভারতের জমিতে ঢোকার চেষ্টা করে ২০০ চীনসেনা। কিন্তু ভারতীয় সেনার তৎপরতায় সেই চেষ্টা বানচাল করা হয়। এরপর ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে তাদের একপ্রস্থ সংঘর্ষও হয় বলে জানা যায়। এর আগেও ২৯শে আগস্ট ও ৩০শে আগস্ট রাতে ওই এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বলেও সেনার তরফে আগে জানানো হয়েছিল। ৩১শে আগস্ট দুই দেশের মধ্যে সেনা স্তরের আলোচনা করে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল বলেও জানা যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আপাতত দু’দিনের সফরে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভান লাদাখ গেছেন বলে জানা গেছে। তিনি পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের মধ্যে সংঘর্ষের অন্যতম কেন্দ্র প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত তিনটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন বলেই তথ্য সূত্রের দাবি। সেখানেই তিনি ফিল্ড কমান্ডারদের থেকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে বৈঠক নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট ‘Border meeting point’-এ নির্মিত তাঁবুতে হওয়ার কথা। তবে এবার সেটা না হয়ে বৈঠক খোলা জায়গায় হচ্ছে বলেই খবর। আর এতেই স্পষ্ট যে আলোচনা হলেও চীনের উপর আর আস্থা রাখছে না ভারত। আপনার মতামত জানান -