এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > ভারতের সুর এবার আমেরিকার গলায়, চীনা অ্যাপ নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে

ভারতের সুর এবার আমেরিকার গলায়, চীনা অ্যাপ নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে ভারতের বুকে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে একগুচ্ছ চিনা অ্যাপ। যার মধ্যে তালিকায় প্রথমেই ছিল জনপ্রিয়তম চীনা অ্যাপ টিকটক। টিকটক ভারতের বুকে বিপুল জনপ্রিয় হয়েছিল বলে জানা যায়। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটিরা পর্যন্ত টিকটকে নিজেদের ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন এবং সেই ভিডিও প্রচুর পরিমাণে শেয়ার হত। যদিও বহুদিন ধরেই টিকটকের প্রতি অভিযোগ ওঠে, তাঁরা সাধারণ মানুষের তথ্য হাতিয়ে নিয়ে চীন সরকারকে সরবরাহ করছে।

আর সেই সূত্রেই ভারত সরকার চীন-ভারত আন্তর্জাতিক সীমান্ত সমস্যার আবহে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চীনা অ্যাপগুলির উপর। প্রসঙ্গত, ভারত সরকারের সঙ্গে এবার পা মেলাতে চলেছে আমেরিকাও। সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরো একবার বিশ্বজুড়ে করোনা বিপর্যয় নিয়ে চীনকে দায়ী করেন। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমেরিকার স্বরাষ্ট্রসচিব মাইক পম্পেও জানিয়ে দিলেন, এবার আমেরিকা থেকেও বিদায় নিতে পারে টিকটকসহ চীনের একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ।

তবে সংবাদমাধ্যমে স্বরাষ্ট্রসচিব মাইক পম্পেও জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সূত্রের খবর, কিছুদিন ধরেই মার্কিন কংগ্রেসের অনেক সদস্যই টিকটকের তথ্য পাচার সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছেন। এমনকি আমেরিকার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবেন বলেও জানাচ্ছেন অনেকে। অনেকেই দাবি করছেন, চীন একনায়কতন্ত্রের দেশ। সেখানে প্রতিটি কোম্পানিকে চীনের কথা মেনে চলতে হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই দেশের তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করার জন্য যদি মার্কিন নাগরিকদের তথ্য বেজিংয়ের হাতে পৌঁছায়, তা কিন্তু আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়টি বিঘ্নিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে মার্কিন আধিকারিকরা যাতে টিকটক ব্যবহার না করেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দুটি বিল মার্কিন কংগ্রেসের বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যেভাবে টিকটকসহ 59 টি চিনা অ্যাপ এককথায় নিষিদ্ধ করে দিয়েছে তা কিন্তু এবার ভাবাচ্ছে আমেরিকার প্রশাসনকে। অন্যদিকে ভারত থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর টিকটক এবার হংকং থেকেও তাঁদের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সম্প্রতি।

টিকটক দাবি জানিয়েছে, বেজিং সরকার হংকংয়ের বসবাসকারী নাগরিকদের তথ্য চেয়েছিল তাঁদের কাছে। যে কারণে তাঁরা এবার ব্যবসা গোটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিজেদের সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য টিকটক জাতীয় চিনা অ্যাপগুলি যত দ্রুত সম্ভব বর্জন করা যায় ততই মঙ্গল এক্ষেত্রে। বিনোদন এর থেকেও নিরাপত্তা যে সবার আগে সে কথা না মেনে কোন উপায় নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বিশ্বজুড়ে টিকটক যে ক্রমশ জনমানসে গুরুত্ব হারাচ্ছে, সে কথা কিন্তু ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!