এবার মমতার সরকারকে সুপ্রিম কোর্টে টেনে নিয়ে গেলেন ভারতী ঘোষ – জানুন বিস্তারিত কলকাতা জাতীয় রাজ্য July 13, 2019 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত কাছের ও স্নেহধন্য যেকজন পুলিশ অফিসার ছিলেন – ভারতী ঘোষ তাঁদের মধ্যে অন্যতম। গোটা জঙ্গলমহলটাই বকলমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ‘সামাল’ দিতেন তিনিই। আর তাই প্রকাশ্য মঞ্চ থেকেই একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘জঙ্গলমহলের মা’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি! কিন্তু সেসব এখন অতীত দিনের কথা – বর্তমানে দুজনের সম্পর্ক আদায়-কাচঁকলায় বললেও কম বলা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ ও সিআইডি পারলে আজই গ্রেপ্তার করে ভারতী ঘোষকে। অন্যদিকে, ভারতী ঘোষ নিজে বিপক্ষ শিবির বিজেপিতে যোগ দিয়ে উঠে পরে লেগেছেন রাজনৈতিকভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের ঘুম ওড়াতে। আর যুযুধান দুই পক্ষের লড়াই যে দিনদিন আরও চরম জায়গায় যাবে, এবার তার ইঙ্গিত মিলল। ভারতী ঘোষ এবার সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন। ভারতী ঘোষ শিবিরের অভিযোগ তদন্তের নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পুলিশ তাঁকে অযথা হেনস্থা করছে। আর তাই এই মামলার ভার রাজ্য পুলিশ বা সিআইডি নয়, দেওয়া হোক কোনো স্বতন্ত্র এজেন্সির হাতে। ভারতীদেবীর আরও দাবি, তিনি বিজেপিতে যোগদানের পরেই তাঁর বিরুদ্ধে ১০-১০টি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে। এমনকি নির্বাচন মিটে যেতেই আরও চার-চারটি মিথ্যা মামলা তাঁর বিরুদ্ধে শুরু করা হয়েছে। আর তাই, এবার সুবিচার পেতে এই মামলাগুলোর ভার কোনো তন্ত্র এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন ভারতী ঘোষ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এই মামলার মাধ্যমে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে মারাত্মক প্যাঁচে ফেলে দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা, এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তীব্র বিরোধিতা করেছে এবং জানিয়েছে যে সুপ্রিম কোর্ট নাকি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না! তার থেকেও বড়কথা, রাজ্য সরকার আবেদন করেছে যে এই মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে না করে কোনো হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করা উচিত! যদিও, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অশোক ভূষণ ও নবীন সিনহার ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে শুনানির দরকার আছে এবং এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৮ শে আগস্ট হবে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতী ঘোষের মামলায় রাজ্য সরকার যে যথেষ্ট ব্যাকফুটে তা মামলা সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরিয়ে হাইকোর্টে নিয়ে যাওয়ার আবেদনের মাধ্যমেই স্পষ্ট। তার থেকেও বড় কথা এই মামলায় রাজ্য সরকারের হয়ে লড়তে বলা হয়েছে কপিল সিব্বলকে। যদিও, রোকেয়া সরকারকে আরও চাপে ফেলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, গত ১৯ শে ফেব্রুয়ারী সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ‘রক্ষাকবচ’ যে ভারতী ঘোষকে গ্রেপ্তার করা যাবে না, তা আগামী শুনানি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। যদিও রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে তাদের কাছে দৃঢ় প্রমাণ রয়েছে যে তিনি অবৈধভাবে ‘তোলাবাজি’ ও সোনার বিনিময়ে টাকার অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। রাজ্য সরকারের হাতে এমন একটি কথোপকথনের রেকর্ড রয়েছে যাতে ভারতী ঘোষ এবং তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীর এই প্রসঙ্গে ভূমিকা স্পষ্ট হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য সরকার ভারতী ঘোষকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, ফলে তিনি অন্তরালে ছিলেন দীর্ঘদিন। কিন্তু গত বছর ১ লা অক্টোবর আদালত ‘সুরক্ষাকবচ’ দিলে তিনি সামনে আসেন আর তার পর থেকেই কার্যত রাজ্য সরকারের ঘুম উড়িয়ে যাচ্ছেন। আপনার মতামত জানান -