এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভারতের অর্থনীতিতে সবথেকে খারাপ সময় আসা এখনও বাকি, দাবি বিশেষজ্ঞদের !

ভারতের অর্থনীতিতে সবথেকে খারাপ সময় আসা এখনও বাকি, দাবি বিশেষজ্ঞদের !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারতের অর্থনীতি যে খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল সেই কথা অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছিলেন অনেক আগেই। তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি যে ভারতের অর্থনীতির কঙ্কাল বের করে দিয়েছে, সেই কথাই মনে করছেন অনেকে। সেইসঙ্গে ইন্টার্নেশনাল মনিটরী ফান্ডের নতুন তথ্যে ভবিষ্যতের খারাপ পরিস্থিতির আভাস জানান হয়েছে তাদের তরফ থেকে। আর তাতেই মনে করা হচ্ছে ভারতের অর্থনীতিতে হয়তো সব থেকে খারাপ সময় আসা এখনো বাকি রয়েছে।

করোনা পরবর্তীতে, ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস ছিল যে, চলতি আর্থিক বছরে দেশের জিডিপি কমতে পারে ৯.৬ শতাংশ। অন্যদিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মতে দেশের জিডিপিতে ৯.৫ শতাংশ সঙ্কোচন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। এমনকি মঙ্গলবার কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কে ভি সুব্রহ্মণ্যনের তরফে জানানো হয়েছিল যে, ভারতের জিডিপি সংকোচনে তাঁরা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গেই সহমত। তবে নতুন চিন্তার বিষয় প্রকাশ পেয়েছে আইএমএফের মতে।

তাঁদের মতে, রিসার্ভ ব্যাঙ্ক বা বিশ্ব ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস অনুযায়ী ভারতের অর্থনীতি যতটা ধাক্কা খাবে বলে মনে হচ্ছিল, তার থেকেও খারাপ অবস্থা আসতে চলেছে। কারণ। তাঁদের হিসেব অনুযায়ী, চলতি আর্থিক বছরে ভারতে জিডিপি ১০.৩ শতাংশ কমতে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। যদিও এর আগে জুন মাসে আইএমএফের তরফে জানানো হয়েছিল যে, চলতি আর্থিক বছরে ভারতের জিডিপি ৪.৫ শতাংশ কমতে পারে।

কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে যে, তাদের অনুমানের থেকেও ভারতের জিডিপি অনেকটাই সংকুচিত হয়েছে। যেখানে এপ্রিল থেকে জুন এই ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি আগের বছরের তুলনায় ২৩.৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। যার ফলেই তাঁরা এই অনুমান করছেন বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে। তবে এর কারণ কি?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, এর প্রধান কারণ হল দেশের বেকারত্ব বৃদ্ধি। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের ফলে প্রচুর মানুষ নিজেদের কাজ হারিয়েছেন। ফলে তার প্রভাব দেশের অর্থনীতির উপর পড়বে সেটা স্বাভাবিক। আর হয়েছেও তাই। শুধু তাই নয়, সমীক্ষায় দেখা গেছে এখনও পর্যন্ত দেশে ৭০ লাখের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আর এখনও তা সরকারি তরফে নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে।

বস্তুত, তাই আইএমএফের ধারণা এই কারণগুলিতেই দেশের জিডিপি কমার ওপর প্রভাব ফেলেছে। তবে আশঙ্কার কথা হচ্ছে, তাঁদের মতে চলতি আর্থিক বছরে ভারতের জিডিপি কমার ইঙ্গিত অতীতের থেকে আরও অনেক বেশি। আর যা কিনা অর্থনীতিবিদদের চিন্তার কারণ।

আর এই ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে বলা হয়েছে এপ্রিল থেকে জুন এই ত্রৈমাসিকে দেশের ২৩.৯ শতাংশ জিডিপি কমার কথাকেই। কারণ পরিস্থিতি খারাপ হবে সেটা ভাবা হলেও এতটা খারাপ অবস্থা হবে তা আশা করতে যায়নি। অন্যদিকে বিশ্বব্যাঙ্ক এর মতে এর আগে ভারতের আর্থিক অবস্থা এতটা খারাপ হতে কোনদিন দেখা যায়নি। আর সেই জন্যই এই অবস্থা অর্থনীতিবিদদের মধ্যে চিন্তার কারণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

তবে, কী ভাবে এই অবস্থা সামাল দেওয়া যাবে, সেই প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ ও তার জেরে লকডাউন যে অর্থনীতিতে এত বড় প্রভাব ফেলবে তা ভাবতে পারেননি কেউই। তবে বর্তমান যা পরিস্থিতি, তাতে যদি সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আসে, তাহলে ভারতের জিডিপির পক্ষে সেটা আরও বড় প্রভাব ফেলবে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। আর তাই সেরকম পরিস্থিতিতে দেশের আর্থিক অবস্থা আরও খারাপ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে আইএমএফ-এর মতে, বিশ্বজুড়ে জিডিপি হয়ত ৪.৪ শতাংশ কমতে পারে। তবে সবথেকে খারাপ অবস্থা হতে পারে প্রায় ৯ কোটি মানুষের। তাই প্রতিটি দেশকে এই মুহূর্তে তাদের জনগণকে আর্থিক সাহায্য করার কথাই জানান হয়েছে। তবে সেইসঙ্গে আইএমএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, চলতি আর্থিক বছরে শুধুমাত্র চীন বৃদ্ধি দেখবে। কারণ তারা ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। তাই তাদের অর্থনীতি প্রায় ১.৯ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি পাবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। তবে পরের বছর থেকে প্রতিটি দেশেই আর্থিক বৃদ্ধি দেখা যাবে বলেই তথ্য সূত্রে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!