প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একেই বলে উধোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে। সম্প্রতি, করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে চীনের বিরুদ্ধে আমেরিকা ও অন্যান্য কিছু দেশ অভিযোগের আঙ্গুল তোলার পরেই অভিযোগের দুর্গন্ধ নিজের গা থেকে ঝেড়ে ফেলতেই ভারতের সঙ্গে জমি বিবাদ শুরু করেছিল চীন। উদেশ্য ছিল এটাই যে ভারত তথা বিশ্বকে অন্য কিছুর দিকে ভুলিয়ে রাখা। কিন্তু একটি ব্যাপার চীন হয়তো বুঝতে ভুল করেছিল যে ১৯৬২ সালের ভারত আর ২০২০ সালের ভারতের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য আছে। কারণ বর্তমান ভারত অনেক বেশি নিজের বলে বলিয়ান তথা আত্মনির্ভরশীল। তাই চীনকে যোগ্য জবাব দিতে বেশি সময় ভারতের সময় লাগে নি। আর ভারতের কাছে উত্তম-মধ্যম খাবার পর এক বিচিত্র কাজ করে বসলো চীনা সেনা । ভারতের বদলে হামলা চালালো পাকিস্তানের সেনাদের উপরে।

প্রসঙ্গত চীন ও পাকিস্তান এই দুটি দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব সর্বজনবিদিত। ভারতের ক্ষতি করার জন্য এই দেশ সব সময় উঠে পড়ে লেগেছে। পাকিস্তানকে তার বিশেষ বন্ধু বলে মনে করে পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চীনের রাষ্ট্রপতি জিনপিংকে নিজের অন্তরঙ্গ বন্ধু বলে মনে করে থাকেন। কিন্তু চীন হলো এমন একটি দেশ যে নিজের সুবিধা ছাড়া কিছু বোঝেনা । স্বার্থের প্রয়োজনে সে বন্ধুকেও রেয়াত করে না। এবার চীনের এমনি মনোভাব সামনে এসে পড়লো । পাকিস্তানের করাচিতে প্রবেশ করলো চীনের লালফৌজ। তারপর চালালো বিস্তর উত্তম-মধ্যম। পাকিস্তানের সেনাদের অজ্ঞান হয়ে পড়ে না যাওয়া পর্যন্ত চললো এই ধোলাই পর্ব।

অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানি সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজশ করেই চীনা সেনা পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে ও পাকিস্তানি সেনাদের প্রচন্ডভাবে মেরেছে। মেরে পাকিস্তানি সেনাদের হাত-পা ভেঙে অজ্ঞান করে দিল চীন সেনা । আর সব দেখেও নির্বাক দর্শকের ভূমিকায় দেখা গেল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বড় বড় অফিসারদের। অভিযোগ উঠে এসেছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্নেল ইমরান কাসিম ষড়যন্ত্র করে, নিজেদের নিষ্ক্রিয় রেখে চীনা লালফৌজের হাতে এমন ধোলাই খাওয়ালেন নিজ সেনাদেরকেই।

চীনা সেনাদের হাতে পাকিস্তানের সেনাদের এই বেধড়ক মার্ খাওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে ভারত জানিয়েছে, চীনা সেনারা তাদের স্যাপস প্রকল্পের কারনে পাকিস্তানের করাচির অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিল। সে সময় পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে শ্রমিকেদের থাকা নিয়ে বিরোধ বাধে পাকিস্তানী ও চীনা সেনাদের। পাকিস্তানী সেনারা আহত না হয় পর্যন্ত এই খণ্ডযুদ্ধ চলে।