এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ভাষণে বিতর্কের মাঝেই এবার মুখ্যমন্ত্রীর বির্তকিত মূর্তি সামনে আনলো তৃণমূল

ভাষণে বিতর্কের মাঝেই এবার মুখ্যমন্ত্রীর বির্তকিত মূর্তি সামনে আনলো তৃণমূল

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার তৃণমূলের প্রচারের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর একটি মূর্তি বানানো হয়েছে। যে মূর্তিতে মুখ্যমন্ত্রীকে দেবী দুর্গার মত করে দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে অসুরের স্থানে রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। দেখা যাচ্ছে, উন্নয়নের ত্রিশুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বধ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মূর্তি প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিজেপি। বিজেপির প্রতিবাদের পর শেষপর্যন্ত মূর্তিটি সরিয়ে নেয় তৃণমূল।

দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলির জামালপুর এলাকায় এ ধরনের একটি মূর্তি বানিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। যে মূর্তিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবী দুর্গা হিসেবে দেখানো হয়েছে আর প্রধানমন্ত্রীকে দেখানো হয়েছে অসুর হিসাবে। জামালপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের বাইরে এই মূর্তি রাখা হয়েছিল। মূর্তিতে দেখা যাচ্ছে উন্নয়নের ত্রিশুল দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বধ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ১০ হাতে রয়েছে রাজ্য সরকার চালু করা ১০ টি প্রকল্প। যার মধ্যে অন্যতম হলো কন্যাশ্রী, যুবশ্রী ইত্যাদি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মূর্তিটি বসানোর পরই মূর্তি দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন। এই মূর্তি দেখার পরেই ক্রুদ্ধ হন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বিজেপির প্রতিবাদের পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই মূর্তিটি সরিয়ে ফেলা হয়। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকি জানালেন, প্রতিপক্ষকে তাঁরা সবসময় বিপদজনক বলে মনে করেন। তাঁদের কাছে প্রতিপক্ষরা সবসময়ই অসুরের মত। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবি দূর্গা হিসেবে তাঁরা মনে করেন। এ কারণে তাঁদের সমর্থকরা এভাবে মূর্তি বানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রীকে ‘দিদি ও দিদি’ বলে ব্যঙ্গ করে ডেকে থাকেন। এটা যদি বিজেপির লোকেদের পছন্দ হয়, তাহলে এটাও তাঁদের পছন্দ হওয়া উচিত।

এ প্রসঙ্গে জনৈক বিজেপি নেতা জানালেন, এলাকার মানুষ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হলেও, বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ থাকলেও, তাঁদের মধ্যে কোনো বিবাদ নেই। ভোটের সময় ও অন্যান্য সময়ে সবাই সৌহার্দ্য বজায় রাখেন। সবাই মিলে এক চায়ের দোকানে আড্ডা দেন। সেখানে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হলেও কোনদিন কোন ঝগড়া বাঁধেনি। কিন্তু এই ঘটনা সকলের মন ব্যথিত করেছে। তাই তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তাঁরা। এরপর তৃণমূল নেতৃত্ব মূর্তিটি সরিয়ে দিয়েছে।

 

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!