এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোটের আগে এলে, ভোটের পরেও এখানে আসতে হবে।’ মন্তব্য করে বাড়ালেন জল্পনা !

ভোটের আগে এলে, ভোটের পরেও এখানে আসতে হবে।’ মন্তব্য করে বাড়ালেন জল্পনা !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি রাজ্যের রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে রাজ্যের পরিবহন ও সেচ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে। শাসক দলের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়া দলের এক সময়ের এই দাপুটে নেতা সম্প্রতি দলের সঙ্গে অনেকটাই দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। করছেন তিনি একাধিক দলহীন জনসংযোগ। যেখানে তিনি দলের নাম, দলের প্রতীক বা মুখ্যমন্ত্রী ছবি কোনটিই রাখছেন না। সম্প্রতি তাঁর নন্দীগ্রাম দিবসের আয়োজনকে নিয়ে কৌতূহল ছিল সকলের।

আজ সকাল ১০ টায় নন্দীগ্রামের তেখালিতে শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম দিবস পালন করলেন। প্রথমেই তিনি জানিয়ে দিলেন যে, এটি একটি অরাজনৈতিক সমাবেশ। এই সমাবেশ মঞ্চে থেকে তিনি কোনো রাজনীতি করতে চান না। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, পবিত্র এই মঞ্চ থেকে কোন রাজনীতি করবেন না তিনি। আজ ভূমি উচ্ছেদ কমিটির ব্যানারে অনুষ্ঠান করলেন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আজকের এই সভায় শুভেন্দু অধিকারীর প্রচারের উদ্দেশ্যে রাস্তার বেশ কিছু জায়গায় তোরণ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কোথাও তৃণমূলের নাম লেখা হয়নি। লেখা হয়েছিল শুধু ” শুভেন্দুর ডাকে নন্দীগ্রামে চলো “।

এই সভামঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, এখানে তিনি নতুন কেউ নন, পূর্বেও তিনি এখানে এসেছিলেন, এরপরেও তিনি এখানে আসবেন। তিনি আরও জানালেন যে, গত ২০০৩ সাল থেকে নন্দীগ্রামে আসছেন তিনি। একটা সময় তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়েও এখানে এসে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু এই আন্দোলন তাঁর একার নয়, এই আন্দোলন ছিল সকলের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, তাঁর চলার পথে কোথায় গর্ত আছে তা এখানে বলবেন না তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই আন্দোলনে যোগ দেননি তিনি। কোনদিন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নামে ভোট চান নি তিনি। তিনি আরও জানান যে, এই কর্মসূচি নতুন কিছু নয়, এই কর্মসূচি ১৩ বছরের পুরনো। এরপর পরিবহনমন্ত্রী জানালেন যে, এখন যারা নন্দীগ্রামের কথা মনে করছেন, তারা যেন ভোটের পর ভুলে না যান নন্দীগ্রামকে। তিনি আরো জানান যে, নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ছে দেখে তাঁর ভালো লাগছে। ভোটের আগে এখানে যেমন তিনি এলেন, ভোটের পরও এখানে তিনি আসবেন বলে জানালেন।

আজ শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বক্তব্য শেষ করলেন, ” জয় বাংলা, ভারত মাতা জিন্দাবাদ” স্লোগানের মধ্য দিয়ে। আবার, নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষে আজ একই স্থানে পৃথকভাবে সভা করতে চলেছে তৃণমূল। আজ বিকেলে তৃণমূলের নাম ও ব্যানার যুক্ত সভাতে উপস্থিত থাকতে চলেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সহ তৃণমূলের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতা মন্ত্রী। এই সভাতে উপস্থিত থাকবেন শুভেন্দু অধিকারীর পিতা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী।

একদিকে তৃণমূল ও শুভেন্দু অধিকারীর দুটি পৃথক রাজনৈতিক সভাকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট জল্পনা শুরু হয়েছে।আবার শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, ভোটের আগে এলেও, ভোটের পরেও তিনি এখানে আসবেন, যাকে কেন্দ্র করে জল্পনা বাড়লো। একসময় এই নন্দীগ্রামকে কেন্দ্র করেই বাম শাসনের ভিত নড়ে গিয়েছিল। এখান থেকেই শুরু হয়েছিল পরিবর্তনের সুর। এবার নন্দীগ্রামকেই কি আবার পরিবর্তনের পটভূমি করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী? এমন প্রশ্ন করছেন অনেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!