প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করলেন ও আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয় লাভের শুভকামনা জানালেন পাকিস্তানের অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিবিদ আবদুল বাসিত। এই আবদুল বাসিত, একসময় যিনি পাকিস্তানের হাই কমিশনার হিসেবে দিল্লিতে কাজ করেছিলেন, এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ প্রশংসা করলেন পাকিস্তানের এই অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিবিদ। গণমাধ্যমে তিনি জানালেন যে, একসময় তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সান্নিধ্য পেয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নম্রতা, বুদ্ধিমত্তা, দেশভক্তি তাঁকে মুগ্ধ করেছিল

পাকিস্তানের অবসর প্রাপ্ত কূটনীতিবিদ আবদুল বাসিত জানালেন যে, গত ২০১৬ সালে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ চলাকালীন কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। এসময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর একটি বৈঠক হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর যে নম্রতা, রাজনৈতিক কুশলতা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় রেখেছিলেন, তা তাঁর মনে ছাপ ফেলে দিয়েছে। তাই এই বৈঠককে চিরকাল মনে রাখবেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, এ সময় ভারত পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়েছিল। ভারতের কড়া মনোভাব পাকিস্তান ভালোভাবে মেনে নেয়নি।

প্রাক্তন পাকিস্তানি কূটনীতিবিদ আরও জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী এই বৈঠকে তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, ভারত পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নতি কিভাবে করা সম্ভব? তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন বিষাক্ত হয়ে গেছে। ভারতে এখন একজন নেতাই আছেন, যিনি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস রাখেন। কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি জানিয়েছেন যে, কংগ্রেস দলের নেতৃত্ব দিন দিন কমজোরি হয়ে পড়ছে। দলটির ভবিষ্যৎ অন্ধকারে চলে গেছে।

তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কথা খুব মন দিয়ে শুনে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধী নেতা হলেও বৈঠকে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কোন কিছুই বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একজন প্রকৃত দেশভক্ত, রাজ্ নেতা বলে সম্বোধন করলেন আবদুল বাসিত। আবার পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়েও তিনি প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

আবদুল বাসিত আরো জানিয়েছেন যে, এই বৈঠকে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গ ও সিন্ধ প্রদেশের অংশীদারিত্বের পরামর্শ দিয়েছিলেন, যাতে মুখ্যমন্ত্রী আগ্রহও দেখিয়েছিলেন। আবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সাদরে মটন বিরিয়ানি উপহার দিয়েছিলেন, যাতে তিনি অত্যন্ত তৃপ্ত হয়েছিলেন। এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন কূটনীতিবিদ। তবে এটাও সত্যি যে, বেফাঁস মন্তব্য ও নানা কারণে বেশ কয়েকবার বিতর্ক বাঁধিয়েছেন আবদুল বাসিত।