এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > 2021 Election Update: মমতার হাত ধরার পর অবশেষে ভুল স্বীকার গুরুংয়ের! ঝড় উঠল রাজ্য-রাজনীতিতে!

2021 Election Update: মমতার হাত ধরার পর অবশেষে ভুল স্বীকার গুরুংয়ের! ঝড় উঠল রাজ্য-রাজনীতিতে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পাহাড়ের রাজনীতিতে অন্যতম নাম হল বিমল গুরুং। বেশ কিছু বছর আগে বিমল গুরুংকে পাহাড় ছাড়া করে এই তৃণমূল। যথারীতি বিমল গুরুং সেসময় গিয়ে হাত মেলায় গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে। বিমল গুরুংকে নিজেদের ছত্রছায়ায় রেখে গোর্খাল্যান্ড এর স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় বিজেপি। একইসাথে পাহাড়ে বিজেপি আসন বাড়ায়। কিন্তু এখানেই বেঁধেছে গোল। কিন্তু দীর্ঘসময় কেটে গেলেও গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। আর তাই এবার বিমল গুরুং বিজেপির প্রতি ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। গত বছরেই দেখা গেছে বিমল গুরুং সমতলে নেমে এসে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেছেন।

আর তারপর থেকে বিজেপিকে সরানোর প্রস্তুতি চলছে উত্তরবঙ্গসহ পাহাড়ে। সম্প্রতি কালিম্পং এর একটি জনসভা থেকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর কোনদিনই বিজেপিকে সমর্থন দেবেন না। আর কয়েক মাসের মধ্যেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিকল্পনাও জানিয়েছেন এদিন সর্বসমক্ষে গুরুং। বিমল গুরুং বলেন, উত্তরবঙ্গের সাতটি বিধানসভার আসনে তিনি প্রার্থী দেবেন। বিজেপিকে রুখে দিতে তিনি সর্বশক্তি লাগাবেন। পাশাপাশি তৃণমূলকে জেতানোই যে তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য সে কথাও বলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে গুরুংয়ের গলায় এদিন কংগ্রেসের প্রশংসা শোনা গিয়েছে। সংবিধানের অষ্টম তফসিলে দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য কাউন্সিল এবং গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল প্রশাসন এবং নেপালি ভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুং বহুল প্রশংসা করেন এদিন কংগ্রেসর। বিমল গুরুং জানিয়েছেন, বিজেপি পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। বিমল গুরুং এদিন দাবি করেন, বিজেপির লক্ষ্য ছিল তাঁকে পাহাড় থেকে দূরে সরিয়ে রাখা।

আর তাই তিনি যে এবার ব্যালটের মাধ্যমে বিজেপিকে দূর করতে চাইছেন পাহাড় থেকে, সে কথা পরিষ্কার তিনি জানিয়েছেন। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, মাটিগাড়া, মালবাজার, মাদারিহাট এবং কালচিনিতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রার্থী থাকবে। পাশাপাশি বিমল গুরুং এদিন জনসভায় জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্যই আবারও ক্ষমতায় ফিরবেন। এদিন বিমল গুরুং অনুতাপ করেছেন 12 বছর গেরুয়া শিবির কে সমর্থন জানানোর জন্য। তিনি যে এই সমর্থনের বদলে কিছুই পাননি, সে কথাও বলেন।

তবে বিমল গুরুংকে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর গোপন চুক্তি এবং বিনয় তামাং নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন সেই প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যান। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ কিন্তু গেরুয়া শিবিরের অন্যতম অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনে এই উত্তরবঙ্গ গেরুয়া শিবির ছিনিয়ে নিয়েছিল তৃণমূলের হাত থেকে। বিমল গুরুং তৃণমূলের সাথে থাকায় এবার কিন্তু বাজি পাল্টে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। অতএব দেখার, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিমল গুরুং তৃণমূলকে জেতানোর লক্ষ্য পূরণ করতে পারেন কিনা!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!