এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভুয়ো ক্লাব দেখিয়ে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া প্রভাবশালী তৃণমূলী নেতা এবার বড়সড় বিপাকে?

ভুয়ো ক্লাব দেখিয়ে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া প্রভাবশালী তৃণমূলী নেতা এবার বড়সড় বিপাকে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সরকারের তরফে ক্লাবগুলোকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার উদ্যোগ অনেকদিন আগে গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রথম থেকেই এই ব্যাপারে বিরোধিতা করে আসছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা এই উদ্যোগে ব্যাপক দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যায়। যেখানে আরামবাগে এক ভুয়ো ক্লাবের নাম করে এক তৃণমূল নেতা সরকারি অনুদানের টাকা তুলে নেন বলে অভিযোগ ওঠে। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়ে ঘাসফুল শিবির।

পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আইন আইনের পথে চলবে বলে সাফাই দেওয়া হয়। কিন্তু এর পরেও এই ঘটনা নিয়ে কোনোরকম প্রশাসনিক উদ্যোগ চোখে পড়েনি। অবশেষে এবার ভুয়ো ক্লাবের নাম করে সরকারি অনুদান তুলে নেওয়ার ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়লেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা নীতীশ ভট্টাচার্য।

সূত্রের খবর, সোমবার সকালে জেলা যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া আধিকারিক অলিভিয়া রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল আরামবাগের 14 নম্বর ওয়ার্ডের নবপল্লী মাঠপাড়া সম্প্রীতি সংঘ নামে একটি ক্লাবের খোঁজ করতে আসেন। আর সেখানে এসেই তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার সঙ্গেও কথা বলেন। আর এরপরই আরামবাগ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সেই তৃণমূল নেতা নীশীথ ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। সেখানে খানাকুলের একটি ব্যক্তির তিনতলা ভবনের নিচের তলায় একটি ঘর পরিদর্শন করে তারা ফিরে যান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, এই ফাঁকা ঘরটিকেই ক্লাব হিসেবে দেখেছিলেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা নীতীশ ভট্টাচার্য। কিন্তু বাস্তবে সেরকম কোনো ক্লাবের হদিশ মেলেনি। যার ফলে দুর্নীতির অভিযোগে সোচ্চার হয়েছেন এলাকাবাসীরা। ক্লাব না থাকা সত্ত্বেও, রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখানো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। এমনকি এই ব্যাপারে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে যাতে সঠিক তদন্ত হয়, তার জন্য নানা মহলের তরফে দাবি করা হয়। তবে এতদিন এই ব্যাপারে সমস্ত রকম তদন্ত বন্ধ ছিল।

কিন্তু এবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই ক্লাবের তদারকি করতে যাওয়া এবং সেই তৃণমূল নেতাকে জেরা করার পরেই প্রশাসন চাপে পড়ে এবার তদন্ত করতে বাধ্য হল বলে মনে করছে একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া আধিকারিক অলিভিয়া রায় বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হবে। এদিন এর প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে আরামবাগের বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা বলেন, “ক্লাব নিয়ে অভিযোগ সত্য বা মিথ্যা যাই হোক, আমাদের সরকার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। এই তদন্ত তারই প্রমাণ। আমরা স্বচ্ছতা চাই। ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করে আমাদের কাছে কেউ শংসাপত্র নিয়ে থাকলে সেটা জানা দরকার। প্রমাণ হলে এতদিন পর্যন্ত পাওয়া অনুদানের সমস্ত টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে।” তবে তৃণমূল বিধায়কের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, তদন্ত শুরু হতেই তৃণমূল যে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে, তা নিশ্চিত সকলের কাছে‌। তবে এখন তদন্ত প্রক্রিয়া কতটা সুষ্ঠুভাবে হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!