এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভুয়ো আইএএস, ভুয়ো সিবিআইয়ের পর এবার ভুয়ো ডিএসপি, একের পর এক ভূয়োর সন্ধানে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের

ভুয়ো আইএএস, ভুয়ো সিবিআইয়ের পর এবার ভুয়ো ডিএসপি, একের পর এক ভূয়োর সন্ধানে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভুয়ো আইএএস অফিসার দেবাঞ্জন দেব গ্রেফতার হবার পর থেকেই একের পর এক ভুয়ো আধিকারিকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। ভুয়ো সিআইডি, ভুয়ো সিবিআই অফিসারের পর এবার ভুয়ো ডিএসপির সন্ধান পাওয়া গেলো। চাকরি দেবার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি নিজেকে আইপিএস অফিসার বলে পরিচিত করা মাসুদ রানাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার তিন সহযোগী রবি মুর্মু, শুভ্র নাগ রায়, পরিতোষ বর্মনকে।

গ্রেফতার হওয়া মাসুদ রানা নিজেকে ডিএসপি পরিচয় দিয়ে বহু মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার কাছ থেকে জাল নথি, জাল নিয়োগপত্র, টুপি, বেল্ট ও নগদ ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদে মাসুদ রানার বাড়ী। তার সঙ্গে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তার তিন সহযোগী মালদহের বাসিন্দা রবি মুর্মু, গাইঘাটার বাসিন্দা শুভ্র নাগ রায়, পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা পরিতোষ বর্মনকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই চারজন চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। সম্প্রতি মেদিনীপুরের বাসিন্দা পরিতোষ বর্মন সমরেশ মাহাতো ও তার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরিতোষ বর্মণ তাদের জানান, তার চেনা জানা অনেক পুলিশ অফিসার আছেন, যারা হোম গার্ডের চাকরি দিতে পারবেন। এরপর নিজেদের ডিএসপি বলে পরিচয় দেন মাসুদ রানা, রবি মুর্মু, শুভ্র নাগ রায়। তারা জানান, বড় বড় অফিসারদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে। তারা চাকরি দিতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, রবি মুর্মু একসময় কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার কনস্টেবলের এর কাজ করতেন। তবে গত ২০১১ সালে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। চাকরিপ্রার্থী সমরেশ মাহাতো ও তার বন্ধুদের হোম গার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন এই চার অভিযুক্ত। কারো কাছ থেকে ৫ লক্ষ, কারো কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা করে হাতানো হয়। মোট ৩৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এরপর চাঁদনি চকের একটি গেষ্ট হাউসে চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে তাদের আসতে দেখা যায় গত ২৯ সে জুন। সেখানে তাদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার, টুপি, বেল্ট ইত্যাদি দেয়া হয়। কিন্তু তারা লক্ষ্য করেন, চাকরিতে যোগ দেওয়ার তারিখ চলে যাচ্ছে, অথচ কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এদিকে হোটেল থেকে খাবার আসা বন্ধ হয়ে যায়। টাকার অভাব শুরু হয়। এরপর বউবাজার থানায় যোগাযোগ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের অভিযোগ মেলার পর কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা এই চারজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের অনুমান, এই চারজনের সঙ্গে আরও একাধিক ব্যক্তি এই জলচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এভাবে একের পর এক ভুয়ো ব্যক্তির সন্ধান মেলায় চক্ষুচড়কগাছ অবস্থা পুলিশ প্রশাসনের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!