এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিভিন্ন দল ছেড়ে বিজেপিতে আসা নেতাকর্মীদের জন্য এবার বিশেষ ব্যাবস্থা বিজেপির, ২০২১ নিয়ে চর্চা শুরু !

বিভিন্ন দল ছেড়ে বিজেপিতে আসা নেতাকর্মীদের জন্য এবার বিশেষ ব্যাবস্থা বিজেপির, ২০২১ নিয়ে চর্চা শুরু !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বহরে বেড়েছে বিজেপি। গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছেন বহু রাজনৈতিক কর্মী-সদস্য। সম্প্রতি যা পূর্বের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সিপিএম, তৃণমূল, কংগ্রেস করে আসা নেতাকর্মীরা বিজেপিতে এসেই দলের সবকিছুতে চৌখস হয়ে যাবেন, এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। একারণেই বিভিন্ন দল ছেড়ে বিজেপিতে আসা নেতা- কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা করা হলো বিজেপির পক্ষ থেকে।

প্রসঙ্গত অল্প কিছুদিন আগেই সিপিএম ছেড়ে এক নেতা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। মিছিলের আগে তিনি যথেষ্ট অভ্যাসও করেছিলেন। কিন্তু মিছিলের সময় হঠাৎ করেই বলে ফেললেন ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’। যে কারণে যথেষ্ট লজ্জায় পড়তে হল তাঁকে। আবার তৃণমূলের এক মাঝারি নেতা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের পক্ষে বলতে গিয়ে, সমস্ত যুক্তি সাজিয়ে ঠিকঠাক উপস্থাপন করতে পারলেন না শেষ পর্যন্ত। অন্য প্রসঙ্গে টেনে দিতে হল বক্তৃতা। এবার বিজেপিতে আসা এই সমস্ত নেতাকর্মীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলো বিজেপির পক্ষ থেকে।

বস্তুত বিভিন্ন দল ছেড়ে বিজেপিতে আশা নেতাকর্মীদের করা হচ্ছে তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করে বিজেপির নবাগতদের দলের নীতি আদর্শ, কাজের পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে। অন্যদিকে দলের পুরোনো কর্মীদেরও দলের নীতি, আদর্শের কথা আবার নতুন করে ঝালিয়ে দেয়া হচ্ছে। বিজেপিতে নতুন ও পুরানো নেতাকর্মীদের মধ্যে একটা সংযোগ সেতু তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে এই শিবিরের মাধ্যমে।

প্রসঙ্গত, বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলায় মোট ৩৭ টি মন্ডল কমিটি আছে। গত ৪ ঠা অক্টোবর থেকে প্রতিটি মন্ডল কমিটিতে পৃথকভাবে প্রশিক্ষণ শিবির শিবিরের আয়োজন শুরু হল। গতকাল রবিবার বনগাঁ শহর উত্তর পৌর মন্ডলের প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আগামী ২০ সে অক্টোবরের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সমস্ত মন্ডলের প্রশিক্ষণ শিবির শেষ করে ফেলা হবে। এই সমস্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করে দলকে শক্তিশালী করার চেষ্টায় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় জানালেন, ” প্রশিক্ষণ শিবিরের মাধ্যমে সংগঠন শক্তিশালী করার পাশাপাশি অন্য দল থেকে আসা নেতা-কর্মীদের বিজেপির নীতি-আদর্শ, কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বচ্ছ্ব কর্মী তৈরি করাও লক্ষ্য আমাদের। ’’

ইতিপূর্বে বিধানসভা ভিত্তিক ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করে বুধ ভিত্তিক সংগঠনকে জোরদার করার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচন, লোকসভা নির্বাচনে বারাসাত সাংগঠনিক জেলায় আশানুরূপ ফল লাভ করেছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিজেপি বনগাঁতে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দলের সাফল্য ধরে রাখতে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজে লেগে পরেছে বিজেপি। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শক্তিশালী করা হচ্ছে দলের সাংগঠনিক ভিত্তিকে।

আবার বারাসত সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত বারাসত এবং বনগাঁ মহকুমায় তৃণমূল যথেষ্ট শক্তিশালী। এ জন্যই লড়াই হবে কঠিন। আর লড়াই কঠিন বলেই বিজেপি দলের কর্মীদের প্রশিক্ষণ এর আয়োজন করে তাদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের মাধ্যমে। বিজেপির ইতিহাস, বিচারধারা কর্মীদের যেমন বলা হচ্ছে, সেরকমই আত্মনির্ভর ভারত, সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার সেখান হচ্ছে। পরবর্তীতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় তৃণমূলের আম্ফান সহ বিভিন্ন দুর্নীতি, কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতার কথা প্রচার করা হবে।

দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দূর করতে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
শুধুমাত্র কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মীদের ব্যস্ত রেখে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে স্বীকার করেছেন বেশ কিছু জেলা বিজেপি নেতা। আবার, তরুণ প্রজন্ম সোশ্যাল মিডিয়া পছন্দ করে বলে, এখানে প্রচার করা অনেক বেশি কার্যকরী হবে। আর সেই প্রচারের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে দলের কর্মীদের।

এভাবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বিজেপি যখন আগামী নির্বাচনের জন্য এতটা উঠে পড়ে লেগেছে তখন শাসকদল তৃণমূল চুপ করে বসে থাকবে, এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। শাসকদল তৃণমূল বুথ সংগঠনকে মজবুত করতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। জেলায় তৃণমূলের বিভিন্ন নেতারা তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চা খেয়ে, গল্পগুজব করে সংগঠনকে জোরদার করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এভাবেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছে শাসকদল তৃণমূল ও বিরোধী দল বিজেপি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!