এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিচার চেয়ে এবার সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি কর্মী, তীব্র চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে

বিচার চেয়ে এবার সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি কর্মী, তীব্র চাঞ্চল্য রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব গেরুয়া শিবির। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক হিংসার বেশ কিছু ঘটনা সামনেও এসেছে। আর তাই নিয়ে চাঞ্চল্য সর্বত্র। গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে একইসাথে গলা মিলিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরও। তিনি এ ব্যাপারে দায়ী করেছেন রাজ্য প্রশাসনকে। পাশাপাশি রাজ্যপালকে একসময় দেখা গিয়েছিল রাজনৈতিক হিংসার নজির দেখার জন্য নন্দীগ্রাম থেকে শীতলকুচি ছুটে যেতে। তবে এবার এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে রাজনৈতিক হিংসার নজির হিসাবে যা অত্যন্ত লজ্জাজনক বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে এক বিজেপি কর্মীর মা যিনি ষাটোর্ধ্ব একজন মহিলা তাঁকে রাতের অন্ধকারে বাড়ির দরজা ভেঙে শাসকদলের আশ্রিত বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতী ধর্ষণ করেছে। যদিও ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সবাইকে গ্রেপ্তার করেনি বলেই জানা যাচ্ছে। বিচারের আশায় তাই ধর্ষিতার ছেলে খেজুরি থেকে সোজা দিল্লী সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে গেলেন। জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে দিনাতিপাত করেন উক্ত বিজেপি কর্মী। তাঁর স্ত্রী, সন্তান এবং মাকে নিয়ে বসবাস। 2 রা মে ভোটের রেজাল্ট বেরোনোর পর রাতের অন্ধকারে তাঁর বাড়ির দরজা ভেঙে 3 দুষ্কৃতী যারা তৃণমূল আশ্রিত বলে পরিচিত তাঁর বাড়িতে ঢোকে এবং তাঁর মাকে ধর্ষণ করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ঘটনার কথা জানাজানি হয় পরদিন সকালে এবং ধর্ষিতা মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এখনও তিনি চিকিৎসাধীন বলেই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে খেজুরি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলেও বাকি দুজনকে গ্রেফতার করা হয়নি। যদিও পুলিশের খাতায় তাঁরা ফেরার হিসেবে রয়ে গিয়েছে। কিন্তু এলাকায় তাঁদেরকে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে আর তার সাথে ক্রমাগত হুমকি আসছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বলে জানিয়েছেন ধর্ষিতার ছেলে। আর তাই বাধ্য হয়ে ঐ বিজেপি কর্মী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। অন্যদিকে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য যে নৃশংস অত্যাচার চালানো হয়েছে তৃণমূল দুষ্কৃতীর পক্ষ থেকে তা বর্ণনা করার ভাষা নেই। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, পুলিশে অভিযোগ জানালেও কোন কাজ হচ্ছেনা। অন্যদিকে খেজুরির তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম দাস জানান, ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দোষী সাব্যস্ত হলে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোন যোগাযোগ নেই। অন্যদিকে এই ঘটনার সূত্রে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, এখন সে দিকেই থাকছে নজর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!