এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > ফুটবল বিশ্বকে দিকশূন্যপুরে রেখে অকালেই চলে গেলেন ‘রাজপুত্র’ দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা

ফুটবল বিশ্বকে দিকশূন্যপুরে রেখে অকালেই চলে গেলেন ‘রাজপুত্র’ দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ২০২০ সালটা যেন সত্যিই বিষে বিষ। যেখানে বছরের প্রায় শুরু থেকেই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। অন্যদিকে, একের পর এক ঘটে চলেছে নক্ষত্রপতন। গতকাল ফুটবলের দুনিয়ায় যেন একটি যুগের অবসান ঘটল।

সকলকে চমকে দিয়েই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দেশে পাড়ি দিলেন ফুটবলের রাজপুত্র ডিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০বছর। জানা গেছে, কয়েক সপ্তাহ আগে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তারপর থেকে সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর।

সেই চিকিৎসায় সাড়াও দিয়েছিলেন তিনি। এদিন বাড়িতেই হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়। আর সব শেষ করে বিদায়ী বার্তা শোনান চিকিৎসকরা। মারাদোনা যে নামটা ফুটবলের দুনিয়ায় ফুটবলপ্রেমীদের ভালোবাসার খোরাক জুগিয়েছে। যাঁর বাঁ পায়ের জাদু দেখিয়েছে একাধিক অবিশ্বাস্য ঘটনা।

সেই তিনিই আজ নেই, সেটা মেনে নেওয়া যেন বড্ড কঠিন। পিছনে দেখতে গেলে ১৯৮৬’র বিশ্বকাপ তাঁর জীবনের সর্বোত্তম উদাহরণ হিসেবেই তুলে ধরা যায়। যেখানে ইংল্যান্ড, বেলজিয়াম এবং জার্মানির বিরুদ্ধে মারাদোনার পারফরম্যান্স দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। পিটার শিলটনকে বোকা বানানোর সেই ‘হ্যান্ড অব গড’, ফুটবলের ইতিহাসে চিরকাল অমর হয়েই থাকবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ঠিক যেভাবে মনে করে যাবে তাঁর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অ্যাজটেক স্টেডিয়ামে মুষ্টিবদ্ধ আস্ফালন। তবে জীবনের প্রথম থেকেই কি এতটা সহজ ছিল জীবন? ১৯৬০ সালের ৩০শে অক্টোবর বুয়েনস আইরেসের এক নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম হয় তাঁর। একসময় পেটে খিদে নিয়েও স্বপ্ন সার্থক করার জন্য ফুটবলই ছিল তাঁর একমাত্র সঙ্গী।

আর্জেন্তিনোস জুনিয়র্স এ তাঁর ফুটবলে পায়েখড়ি। সময়টা ছিল ১৯৭৬ সাল। যদিও সেইসময় বিশ্বকাপে তাঁকে দলে রাখেননি কোচ লুই সিজার মেনোত্তি। ফলে অভিমানে ভেঙে পড়েন তিনি। কিন্তু খেলার জেদ ছাড়েননি তিনি।

১৯৮২ সালে স্পেন বিশ্বকাপে তাঁকে নিষ্প্রভ করার জন্য ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ ফুটবল খেলতে বাধ্য হয় প্রতিপক্ষ। সেইসময় ব্রাজিলের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখলেও মেক্সিকো বিশ্বকাপে সম্পূর্ণ অন্য এক ফুটবলারকে সামনে আসতে দেখা যায়। শেষমেষ ডিফেন্ডারদের কঠিনতম চ্যালেঞ্জকে এড়িয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য স্পর্শ করতে সফল হন তিনি।

এরপর ১৯৯০’তে ফাইনালে হারতে হয় তাঁকে। পড়ে ৯৪সালে বিশ্বকাপে পাঁচটি নিষিদ্ধ ড্রাগ নিয়ে নির্বাসিত হন তিনি। তবে ক্লাব ফুটবলে তাঁর সোনার সময় শুরু হয় নাপোলিতে। এছাড়া বার্সেলোনা, সেভিয়া, নিউ ওয়েলস ওল্ড বয়েজ, বোকা জুনিয়র্সে খেলেছেন তিনি।

যেখানে মাঠের বিপক্ষের বহু ডিফেন্ডারের কঠিন চ্যালেঞ্জ সহজাত প্রতিভায় অতিক্রম করে যেতেন তিনি, সেখানেই কিন্তু হায় দুর্ভাগ্য, জীবনের সঙ্গে শেষ লড়াইয়ে হার মানতে হল তাঁকে। বিশ্ব ফুটবলের সোনার ছেলের এহেন অকাল প্রয়াণে তাই ফুটবল দুনিয়ার শোকস্তব্ধ বাকরুদ্ধ হয়ে যাওয়া ছবিই যেন গতকাল থেকে ফুটে উঠেছে।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!