এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধান পরিষদ গঠন নিয়ে বিধানসভা তেতে রইল সরকার-বিরোধী তর্কে, বিতর্কে

বিধান পরিষদ গঠন নিয়ে বিধানসভা তেতে রইল সরকার-বিরোধী তর্কে, বিতর্কে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টআগে থেকেই ঠিক ছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে এবারের বিধানসভা অধিবেশনে বিধান পরিষদ তৈরি করা নিয়ে আলোচনা চলবে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব এনেছে বিধানসভায়। আর সেখানেই একমাত্র বিরোধী দল বিজেপি এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে। বিজেপির দাবি, রাজ্য সরকারের মাথায় রয়েছে বড়সড় ঋণের বোঝা। বিধান পরিষদ তৈরি করলে ঐ ঋণের বোঝা আরো বাড়বে বৈ কমবেনা। সেক্ষেত্রে বিধান পরিষদ তৈরি হওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অন্যদিকে  বিধানসভায় এই আলোচনার শুরুতে রাজ্যের তৃণমূল মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বিধান পরিষদ গঠনের ইতিবাচক দিকে আলোকপাত করেন।

তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে দেশের ছটি রাজ্যে বিধান পরিষদ রয়েছে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিধান পরিষদ গঠন হয়। অন্যদিকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জবাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্ষেত্রে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন , বিধানসভায় মেজরিটির জোরে যদি বিধান পরিষদ বিলটি পাস হয়, তাহলে সেই মেজরিটির জোরেই লোকসভা এবং রাজ্যসভায় এই বিল আটকে দেওয়া হবে। কার্যত খোলাখুলিভাবে শুভেন্দু অধিকারীর এই বার্তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন পরিষদীয় মন্ত্রীর পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি শুভেন্দুকে নিশানা করে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বিধান পরিষদকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের অন্যতম অভিযোগ আর্থিক চাপ বাড়বে সরকারের ওপর। তা নিয়েও পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হলেও শিক্ষকদের মাইনে কিন্তু বন্ধ হয়নি। অন্যদিকে বিজেপির আরেকটি অভিযোগ হল, বিধান পরিষদ তৈরি হলে পেছনের দরজা দিয়ে অনেকেই হয়তো সামনে আসবেন। তা নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিজেপির দিকে খোচা মেরে বলেন, ভোটে হেরেও রাজ্যসভার সাংসদ হচ্ছেন নেকীই। কার্যত এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক উদাহরণ স্বপন দাসগুপ্ত। এবং এই জায়গায় দাঁড়িয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভা সিপিএম ও কংগ্রেসের না থাকা নিয়ে আক্ষেপ করেন ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিধান পরিষদ নিয়ে আজকে শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি বিজেপির শংকর ঘোষ, মিহির গোস্বামীরাও আপত্তি জানিয়েছেন। বিজেপির শংকর ঘোষ বক্তব্য রাখতে উঠে সুব্রত মুখোপাধ্যায় এর কথাকেই হাতিয়ার করে নিয়েছেন। তিনি পাল্টা বলেন, শুধু 6 টি রাজ্যেই বিধান পরিষদ রয়েছে, কেন বাকি রাজ্যে নেই সেই কথার উত্তর কিন্তু সুব্রত মুখোপাধ্যায় দেননি। একই সাথে তিনি বলেছেন, রাজ্যের কোষাগারের ওপর নতুন করে আর্থিক বোঝানোর চাপানোর চেষ্টা চলছে বিধান পরিষদ তৈরি করে। অন্যদিকে ঋণের বোঁঝা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির অন্যতম বিধায়ক মিহির গোস্বামীও।

একইভাবে বিধানসভায় আইএসএফএর একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীও  বিধান পরিষদের বিরুদ্ধে বিজেপির সুরেই কথা বলেছেন। খুব স্বাভাবিকভাবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিধান পরিষদ যদি বিধানসভায় পাস হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে কিন্তু খুব স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির লক্ষ্য এই বিলকে আটকে দেওয়া। সেক্ষেত্রে লোকসভা এবং রাজ্যসভার ব্যবহার হবেই। অন্যদিকে একথা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা, তৃণমূলের অনেক নেতাই বিধান পরিষদের হাত ধরে রাজ্য রাজনীতির ক্ষমতায় আসতে চলেছেন। সেক্ষেত্রে তৃণমূল বিধান পরিষদ তৈরি নিয়ে বিজেপিকে কি করে মাত দেয়, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!