এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > জলের তোড়ে ভাঙছে বিজেপি,হেভিওয়েটের দলত্যাগে মুখ লুকাতে মরিয়া গেরুয়া নেতারা!

জলের তোড়ে ভাঙছে বিজেপি,হেভিওয়েটের দলত্যাগে মুখ লুকাতে মরিয়া গেরুয়া নেতারা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে ক্রমাগত ভাঙ্গন দেখা দিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলে। তৃণমূলের একের পর এক হেভিওয়েট দল ছাড়তে শুরু করেছিলেন, পক্ষান্তরে কলেবর বৃদ্ধি ঘটেছিল বিজেপির। কিন্তু নির্বাচনের পর একেবারেই বিপরীত অবস্থা তৈরি হয়েছে। বিজেপির শোচনীয় পরাজয়ের পর একের পর এক হেভিওয়েট দল ছাড়তে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে বিজেপির সংখ্যালঘু সেলে দেখা দিল ব্যাপক ভাঙ্গন। একাধিক হেভিওয়েট দলত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করে ইস্তফাপত্র পাঠালেন দলের রাজ্য সভাপতির কাছে।

সম্প্রতি দল থেকে ইস্তফা দিলেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সহ-সভাপতি কাশেম আলি। আবার, শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কবিরুল ইসলাম বিজেপি ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রাক্তন বিধায়ক পারভেজ কাসেম বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন কাশেম আলি। পরবর্তীতে তাঁকে দলের সংখ্যালঘু মোর্চার সহ সভাপতি করা হয়েছিল। এবার তিনি দল ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিজেপিতে থেকে সংখ্যালঘুদের জন্য কোন কাজ করা সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, তাঁর সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেকে এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কবিরুল ইসলাম জানিয়েছেন যে, বিজেপিতে তিনি রয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁকে সেভাবে কোন কাজে লাগায়নি দল। আবার নারদ মামলায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিমের গ্রেপ্তারির বিরোধিতা করেছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন, নারদ কান্ডে জড়িত বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কেন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি? এই সমস্ত কারণে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আবার, কয়েকমাস আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পুড়শুড়ার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক পারভেজ কাসেম। তিনিও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন। এভাবে বিজেপির একাধিক সংখ্যালঘু নেতা, কর্মী তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন, এমন একটা বড়সড় আশঙ্কা রয়েছে।

ইতিমধ্যেই কাশেম আলি, কবিরুল ইসলাম প্রমুখরা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তৃণমূলের যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তবে এ প্রসঙ্গে কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন যে, তাঁরা দু’জন তাঁর কাছে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁদের কোনো কথা দিতে পারেননি। আরো অনেকে আসছেন, নানাভাবে যোগাযোগ করছেন। কেউ কেউ ভুল হয়ে গেছে বলে কান্নাকাটি পর্যন্ত করেছেন। কিন্তু নির্বাচনের আগে যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এখনো তাঁদেরকে নিয়ে দল কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।

এভাবেই বিজেপিতে শুরু হয়েছে ভাটার টান। নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর দলের এই তীব্র ভাঙ্গন অশনিসংকেত রূপে দেখা দিতে পারে বিজেপির কাছে, যা আগামীদিনে দলের স্থায়ীত্বকেই ফেলে দিতে পারে প্রশ্নের মুখে। এমনটাই একাধিক বিশেষজ্ঞের মতামত। যা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের কাছে অস্বস্তি স্পষ্ট, তবে বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে গেরুয়া শিবির। তবু বিষয়টি অপ্রকাশিত রাখা যাচ্ছে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!