এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিধানসভার ৮টি কমিটি থেকে বিজেপির বিধায়কের ইস্তফা, এবার কোন পথে স্পিকার-বিরোধী দলনেতার দ্বন্দ্ব

বিধানসভার ৮টি কমিটি থেকে বিজেপির বিধায়কের ইস্তফা, এবার কোন পথে স্পিকার-বিরোধী দলনেতার দ্বন্দ্ব


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন মুকুল রায়। তবে, ফল প্রকাশের পরই বিজেপি ছেড়ে যোগদান করেছেন তৃণমূলে। কিন্তু বিজেপির বিধায়ক পদ এখনো ছেড়ে দেননি তিনি। বিজেপির প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও তাঁকে করা হয়েছে পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান। এর প্রতিবাদে গতকাল বিধানসভার ৮ টি কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিজেপির বিধায়করা। ৬ জন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন, হজ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ২ জন। তাঁদের সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

গতকাল ইস্তফা দেওয়ার পর রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিজেপির বিধায়করা। বিজেপির অভিযোগ, বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করছে তৃণমূল। মুকুল রায়কে পিএসির চেয়ারম্যান করবার বিষয়টি রাষ্ট্রপতি, লোকসভার স্পিকার, অন্যান্য রাজ্যের পরিষদীয় নেতা ও বিরোধী দলনেতাদের জানাবার পরিকল্পনা বিজেপির। এ প্রসঙ্গে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, রাষ্ট্রপতি রাজ্যপাল যেখানে পারে সেখানে যাক বিজেপি। তিনি যা করেছেন, তা তিনি আইন মেনেই করেছেন।

আবার, এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে, দলের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল যে, সরকার যদি চালাকি করে, তবে তাঁরা সহযোগিতা করবেন না। পিএসি চেয়ারম্যানের জন্য পদ্ধতিগতভাবে বিরোধীদের থেকে নাম পাঠানো হয়। এবার সেই নাম থেকে চেয়ারম্যান করা হয়নি। তাই তাঁরা ঠিক করেছেন কোন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পদে থাকবেন না তাঁরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, বিধানসভায় পিএসি চেয়ারম্যান নিয়োগের ৩০২ ধারা ভাঙ্গা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির অভিযোগ, বিজেপির যে ৬ জন বিধায়ক পিএসির সদস্য হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে থেকে কাউকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করতে পারতেন স্পিকার। কিন্তু তা তিনি করেননি। এজন্য তিনি বেছে নিয়েছেন মুকুল রায়কে। যার প্রস্তাবক বিনয় তামাং পন্থী মোর্চা বিধায়ক রুদেন সাদা লেপচা, যার সমর্থক তৃণমূল বিধায়ক তরুন মাইতি। বিজেপির পক্ষ থেকে কেউ তাঁর মনোনয়নের সমর্থন জানান নি। মুকুল রায় নিজের নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তৃণমূল নেতার পরিচয় ব্যবহার করছেন।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের জন্য আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। এই আবেদনের শুনানি রয়েছে। তার আগেই যদি মুকুল রায়কে বিজেপির বিধায়ক বলে চিহ্নিত করে দেয়া হয়, তবে বিচারের আর কি জায়গা থাকে? শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যের জবাবে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, সংসদের ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন নিয়ে বিরোধীরা যে দাবি জানিয়েছেন, সেটা নিয়ে এখানকার বিরোধিরা দাবি তুলবেন? বিধানসভায় যা হয়েছে, আইন মেনেই তা হয়েছে।

আবার, গতকাল রাজ্যপাল সকালে ট্যুইট করে জানান যে, গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধি দল তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর আজ বিকেলে রাজ্যপালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনো পর্যন্ত মুকুল রায়কে চেয়ারম্যানের পদে বসানো নিয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে তাঁকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরাতে ও তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগে সচেষ্ট গেরুয়া শিবির। এর জল কত দূর গড়ায়? সেদিকে দৃষ্টি থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!