এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিধানসভার আগে বাংলায় আরও প্রবল হবে হিন্দুত্বের হাওয়া? VHP-এর নতুন পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা

বিধানসভার আগে বাংলায় আরও প্রবল হবে হিন্দুত্বের হাওয়া? VHP-এর নতুন পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের হিন্দু ভোটকে একত্রিত করতে বিশেষ পরিকল্পনা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, রাম মন্দির নির্মানের উদ্যেশে দেশজুড়ে শুরু হবে অর্থ সংগ্রহ অভিযান। আগামী জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাস ধরে চলবে এই কর্মসূচি। এই অভিযানে বিশেষ গুরুত্ব পাবে পশ্চিমবঙ্গ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের লক্ষ্য, রাজ্যের সমস্ত স্থানে, সমস্ত বাড়িতে যাবেন পরিষদের সদস্যরা। অভিযান গোটা দেশজুড়ে চললেও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা চিন্তা করেই, রাজ্যে অভিযানকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিষদের নেতারা। প্রধানমন্ত্রী যে হিন্দু সমাজের কথা রেখেছেন, সেই বার্তা দেয়া যাবে এর মাধ্যমে। তবে এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানালেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির অনুমতি দেওয়ার পর থেকেই বিজেপির স্লোগান উঠেছিল, ” মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায় “। এরপর কত ৫ ই আগস্ট অযোধ্যাতে ভূমি পূজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে উপস্থিত ছিল সমস্ত সংঘ পরিবার। সংঘ পরিবারের পক্ষ থেকে বার্তা দেয়া হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী হিন্দুদের পাশে আছেন, তিনি কথা রেখেছেন।এরপর রাম মন্দিরের প্রসঙ্গ তুলে ধরে হিন্দু ভোটকে একত্রিত করার পরিকল্পনা নিল বিজেপি। ইতিপূর্বে বিজেপি নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ এনেছেন। যার মূল লক্ষ হিন্দু ভোটকে একত্রিত করা।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নতুন কর্মসূচির নাম দেয়া হয়েছে ‘নিধিসংগ্রহ মহাভিযান যোজনা’।আগামী ১৫ ই জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি থেকে যা শুরু হবে, এবং যা চলবে ২৭ সে ফেব্রুয়ারি মাঘ পূর্ণিমার দিন পর্যন্ত। দেশজুড়ে অভিযান চালানো হবে। তবে বাংলার ক্ষেত্রে এক মাসের মধ্যেই অভিযান শেষ করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী, ১৬ ই ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর মধ্যে বাংলার অভিযান সম্পন্ন করে ফেলা হবে। রাজ্যে এই অভিযান বিষয়ে চলতি মাসেই চূড়ান্ত সিধ্দান্ত করা হবে। আগামীকাল ২৮ সে নভেম্বর কলকাতায় আসছেন পরিষদের সর্বভারতীয় সংগঠন সম্পাদক বিনায়করাও দেশপাণ্ডে।

তবে শুধু অর্থসংগ্রহ নয়, এই অভিযান করে জনসংযোগ বৃদ্ধির পরিকল্পনাও নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ইতিপূর্বেও সাধারণ মানুষকে কাছে টানতে বহুবার এরকম অর্থ সংগ্রহ অভিযান করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। কন্যাকুমারীতে ‘বিবেকানন্দ শিলা স্মারক’ নির্মাণের সময় এমন অভিযান করেছে পরিষদ। রামশিলা পূজনেও যা করেছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সর্বনিম্ন ১০ টাকার কূপন থাকবে, যা ব্যক্তিগত দান হিসেবে নেয়া হবে। এছাড়া পরিবারপিছু ১০০ টাকার কুপন থাকবে, কেও যদি বেশি টাকা দিতে যান তাহলে ২০০০ টাকা পর্যন্ত দিতে পারবেন। তার বেশি দিতে চাইলে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র’ ট্রাস্টের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অনলাইনে জমা দিতে হবে। এছাড়া চেক, ড্রাফ্ট এর মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া যাবে। পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো যে, পেটিএম, গুগল পে, ভিম, ফোনপে-র মাধ্যমেও ট্রাস্টকে টাকা দেওয়া যাবে। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মানে অর্থ সাহায্য করা কেন হিন্দু সমাজের কর্তব্য? তা জানাবেন সদস্যরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই অভিযানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ সহ অন্যান্য সংগঠনগুলোও পরিষদের সঙ্গে থেকে কাজ করবে। একাধিক ধর্মীয় সংগঠনকেও যুক্ত করার পরিকল্পনা আছে। এ প্রসঙ্গে সংগঠনের সর্বভারতীয় সহ সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিংহ জানালেন, ‘‘এই কর্মসূচিতে পরিষদ তো বটেই, সেই সঙ্গে সঙ্ঘ পরিবারের অন্যান্য সংগঠনের সদস্যরাও যোগ দেবেন। সাধুসন্তরাও সঙ্গে থাকবেন। অযোধ্যায় নির্মীয়মাণ রাম মন্দিরের জন্য গোটা বাংলা জুড়ে মানুষের কাছে আমরা অর্থসাহায্য চাইব ।’’

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে বিজেপির প্রতী হিন্দু ভোটকে একত্রিত করতেই কি এমন পরিকল্পনা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে? এর উত্তরে শচীন্দ্রনাথ সিংহ জানালেন, ‘‘রাজনীতি আমাদের কাজ নয়। তাই আমরা নির্বাচন নিয়ে ভাবছি না। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ জাতীয় গর্ব। তার অংশীদার বাংলাও। ভূমিপূজনের সময়ে বাংলার বিভিন্ন পূণ্যভূমি থেকে মাটি আর নদীর জল নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অযোধ্যায়। এ বার বাংলার মানুষের নিধি সংগ্রহ করা হবে। রাম মন্দির সকলের। তাই সকলের অংশগ্রহণ চাই। এই ভাবনাটা তৈরি হবে সকলের মধ্যে।’’

ঘোষিত ভাবে বিজেপি এতে যোগ দিচ্ছে না, তবে বিজেপির কোন নেতা কর্মী যদি অভিযানে যোগ দিতে চান তবে তাতে আপত্তি নেই দলের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, রাম মন্দির কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়। এটি একটি সামাজিক কাজ। যে কেউ তাই অর্থসংগ্রহের কাজে যোগ দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বিজেপি পরিচয়টা মুখ্য নয়, রামভক্তরাই এ কাজ করবেন। অন্যদিকে এই অভিযানের ফলে কি বিজেপির সুবিধা হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানালেন যে, এই অভিযান না হলেও রাজ্যের মানুষ জানেন যে, বিজেপি তার কথা রেখেছে। হিন্দু সমাজের দীর্ঘদিনের আবেগ রাম মন্দির। সেই আবেগকে সম্মান দেয়ার প্রতিশ্রুতি করেছিল বিজেপি। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিজেপি মানুষের মন জয় করতে পেরেছে।

 

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!