বিধানসভার আগে দলের বিক্ষুব্ধদের কড়া বার্তা, তৃণমূলের কর্মীসভায় উপচে পড়ল ভিড়! মিলছে স্বস্তি উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য October 11, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে পদ্ম শিবিরের কাছে ব্যাপকভাবে পর্যুদস্ত হয় ঘাসফুল শিবির। স্থানে স্থানে পরাজয় ঘটে ঘাসফুল প্রার্থীদের। এরপর সময় এগোনোর সঙ্গে সঙ্গেই উত্তরবঙ্গে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করে নিতে থাকে বিজেপি। এদিকে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় শাসক দল তৃণমূল নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়। সম্প্রতি কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলাতে শাসকদল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি নজরে এসেছে। দলের নতুন জেলা ও ব্লক কমিটি গঠন নিয়ে দলের বেশ কিছু সদস্য সরব হয়েছেন কোচবিহারে। এ কারণেই আলিপুরদুয়ার জেলায় নতুন জেলা ও ব্লক কমিটি গঠন নিয়ে বেশ কিছুটা সময় নিয়েছিল শাসকদল তৃণমূল। কিন্তু জেলা ও ব্লক কমিটি গঠনের পরও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ছে শাসক দলের বেশ কিছু কর্মী সদস্যের মধ্যে। নতুন জেলা ও ব্লক কমিটিতে পদ পাওয়ার পরও তৃণমূলের বেশকিছু নেতাকর্মী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এমনকি সংবাদমাধ্যমে বিবৃতিও দিয়েছিলেন কিছু নেতা। অনেকে দলের কর্মীসভায় উপস্থিত থাকতেন না। তাই এবারে কোনরকম ঝুঁকি না নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দলের বিক্ষুব্ধদের প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী। স্পষ্ট ভাবে তিনি জানিয়েছিলেন যে, জেলার নতুন জেলা কমিটি ও ব্লক কমিটি নিয়ে কোনোরকম বিরুদ্ধাচারণ করলেই বিক্ষুব্ধদের সম্পর্কে রিপোর্ট দেয়া হবে রাজ্য নেতৃত্তের কাছে। এই হুঁশিয়ারিতে অনেকটাই কাজ হল। গতকাল তৃণমূলের বহু নেতা-কর্মীর উপস্থিতি লক্ষ করা গেল সভাতে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গতকাল শনিবার কালচিনিতে তৃণমূল দলের বিধানসভা ভিত্তিক একটি কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছিল। কালচিনির রবীন্দ্র-ভানু-বিরসা ভবনে এই সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে তৃণমূলের সম্মিলিত রূপ দেখা গেলো। তৃণমূল দলের প্রায় সমস্ত ছোট বড় নেতা ও সদস্য বৃন্দের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেল এই সভায়। তবে, করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি মোহন শর্মা ও তাঁর ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অসীম মজুমদার এই সভায় উপস্থিত হতে পারেননি। কারণ দুজনই আছেন হোম আইসোলেশনে। কিন্তু তাঁদেরকে বাদ দিলে বাকি নেতাকর্মীদের নিয়ে একেবারে উপচে পড়া ভিড় ছিল গতকালের এই সভায়। প্রসঙ্গত কালচিনিতে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মোহন শর্মা হলেন দলের একনায়ক। গতকালের সভায় বক্তব্য রাখেন আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী। এই সভা থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ” বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের দল ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা প্রচার করছে।” গতকালের সভায় এই ভিড় দেখে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অনেকটাই নিশ্চিন্ত। এবারের বিধানসভায় কঠিন যে হবে, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অনেকেই। নানা স্থানে বিজেপি ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে তৃণমূলের। তারপরে আছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যা যথেষ্ট দুর্বল করে রেখেছিল দলকে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দলের কর্মী সভার ভিড় দেখে অনেকটাই সন্তুষ্ট জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। আপনার মতামত জানান -