এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধানসভার আগে দ্বন্দ্ব মেটাতে সপ্তাহে ৬ দিন দুবেলা তৃণমূল ভবনে কর্মীদের সময় শীর্ষনেতৃত্বের

বিধানসভার আগে দ্বন্দ্ব মেটাতে সপ্তাহে ৬ দিন দুবেলা তৃণমূল ভবনে কর্মীদের সময় শীর্ষনেতৃত্বের

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এই নির্বাচনে জয়ের ধারাকে বজায় রেখে শাসন ক্ষমতা ধরে রাখায় হ্যাটট্রিক করতে সচেষ্ট শাসকদল তৃণমূল। এজন্য দলের সাংগঠনিক ভিত্তিকে মজবুত করে তোলার কাজ চলছে পুরোদমে। দলের নতুন জেলা কমিটি, ব্লক কমিটি, টাউন কমিটি গঠন করা হয়েছে স্থানে স্থানে। এবার দলের কর্মীদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের জন্য, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে তৃণমূলের রাজ্য সদর দপ্তর তৃণমূল ভবনে মিলিত হবেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যার, তালিকা প্রকাশ করা হল তৃণমূলের পক্ষ থেকে।

প্রসঙ্গত, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে বিশেষ উদ্যোগী রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। বিভিন্ন স্থানে জেলা, ব্লক, টাউন কমিটি গঠন করা হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় জেলা, ব্লক কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জনসংযোগ বাড়াতে নানা স্থানে চলছে বিজয়া সম্মেলনের কর্মসূচি। সেইসঙ্গে চলছে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির কাজ। এবার দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে এক বিশেষ পদক্ষেপ নিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার থেকে দলের কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের সদরদপ্তরে মিলিত হবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা। প্রসঙ্গত তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্বরা দলের বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে বারবার আসেন তৃণমূল ভবনে। সংগঠনের বিষয়ে বিভিন্ন খোঁজ খবর যেমন তাঁরা রাখেন, তেমনি দলের কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হয়ে, তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনাও করেন তাঁরা।

এবার থেকে সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন দুটি পর্যায়ে তৃণমূল ভবনে আসবেন শীর্ষ তৃণমূল নেতারা । তাঁরা তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। সকলে এক হয়ে কাজ করবেন। সোম থেকে শনি পর্যন্ত সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত ও দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত দুটি পর্যায় তৃণমূল ভবনে আসতে চলেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বরা। সোমবার ও বুধবার দিনের প্রথম পর্যায়ে তৃণমূল ভবনে আসবেন বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, রতন দে, সন্দীপ বকসি প্রমুখরা। মঙ্গল ও শুক্রবার প্রথম পর্যায়ে আসবেন আইএনটিটিইউসি নেত্রী দোলা সেন। তৃণমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় জানালেন যে, দলের কর্মীরা তাঁদের দলের সম্পদ। তাঁদের সকলের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ আরও নিবিড় করে তোলার লক্ষ নিয়েছে তৃণমূল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার, বৃহস্পতিবার সকালে আসবেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী নুরুল ইসলাম প্রমুখরা। শনিবার সকালে আসবেন ওমপ্রকাশ মিশ্র, দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রমুখরা।
অন্যদিকে, বিকেলের দিকে সোমবার অশোক রুদ্র, মঙ্গলবার ওয়াইজুল হক, বুধবার মদন মিত্র, বৃহস্পতিবার তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, শুক্রবার শান্তনু সেন, শনিবার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তৃণমূল ভবনে আসবেন। এ বিষয়ে মদন মিত্র জানালেন যে, দলের নির্দেশ মেনে সপ্তাহে একদিন করে তিনি সদর কার্যালয়ে আসবেন। আবার তৃনামলের সমস্ত শাখা সংগঠনের নেতারাও নিয়ম করে তৃণমূল ভবনে আসছেন।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে শীর্ষ নেতৃত্ব মিলিত হবেন কর্মীদের সঙ্গে। কর্মীদের কোন অভাব অভিযোগ, সমস্যা থাকলে সে বিষয়ে তাঁরা জানাতে পারবেন। মূলত, কলকাতা ও শহরতলীর তৃণমূল সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করে তোলার জন্য এই বিশেষ উদ্যোগ নিল তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের অন্তর্দ্বন্দকে লাগাম পড়াতেই সপ্তাহে ছদিন করে তৃণমূল নেতৃত্বের এভাবে সদর দপ্তরে আসা।প্রসঙ্গত, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমাগত বাড়ছে। যা উদ্বিগ্ন করেছে রাজ্যের শাসকদলকে। তাই অন্তর্দ্বন্দের আগুন নেভাতেই এই বিশেষ প্রচেষ্টা দলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!