এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিধানসভার আগে জোটের ভিত্তি আরও মজবুত করতে আজ বড়সড় পদক্ষেপ বামফ্রন্ট-কংগ্রেসের, জেনে নিন

বিধানসভার আগে জোটের ভিত্তি আরও মজবুত করতে আজ বড়সড় পদক্ষেপ বামফ্রন্ট-কংগ্রেসের, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একটা সময় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের অনুকূলে ছিল। লালে, হাতে পরিপূর্ণ ছিল উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থান। এরপর তৃণমূল কংগ্রেস, সম্প্রতি বিজেপির উত্থানের পর থেকে উত্তরবঙ্গে প্রভাব ফিকে হতে শুরু করে এই দুই দলের। এদিকে আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের অঙ্গীকার নিয়েছে। এই হিসেবেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কোচবিহার শহরে বাম-কংগ্রেস যৌথ রাজনৈতিক মঞ্চের পক্ষ থেকে পুরসভা অভিযানের বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।

গতকাল রবিবার কোচবিহারে বাম-কংগ্রেস যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে আজ সোমবার কোচবিহার পুরসভা অভিযানের কথা জানানো হলো। কোচবিহার পৌরসভার একাধিক পরিষেবার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে চলেছেন তারা।

বাম ও কংগ্রেস যৌথ রাজনৈতিক মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, কোচবিহার শহরের ইতিপূর্বে তারা ১০০টি পথসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে সমস্ত কর্মসূচি পালন করতে পারেন নি তারা। এর পরেই যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হলো যে, আজ সোমবার দুপুরে কোচবিহার শহরের ঘাসবাজার মোড়ে দুই দলের কর্মী-সদস্যরা সমবেত হয়ে পুরসভা অভিযান আরম্ভ করবেন।

কোচবিহার পুরসভার একাধিক পরিষেবা বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে তাঁদের। যার মধ্যে আছে শহরের জল নিকাশি ব্যবস্থা, শহরের পানীয় জল সরবরাহ, শহরের জঞ্জাল পরিষ্কার, পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের অপসারণ, অস্থায়ী কর্মীদের বেতন, বেহাল রাস্তাঘাট ইত্যাদি।এই সমস্তকিছুর দাবিতে অভিযান কর্মসূচি পালন করতে চলেছেন তারা।

গতকাল বাম-কংগ্রেস যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে অভিযোগ আনা হলো, সাত বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার কোচবিহার শহরে বৈঠকে করতে এসেছিলেন। সেসময় তিনি কোচবিহার শহরের জলমগ্নতার বিষয়টি লক্ষ করে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, পরের বছর কোচবিহারে এসে এমন অবস্থা যেন তিনি না দেখেন। অভিযোগ উঠেছে, এরপর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কোচবিহারের নিকাশি ব্যবস্থার তেমন কোন উন্নতি হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর পাশাপাশি কোচবিহার শহরের পানীয় জলের ব্যবস্থা নিয়েও তাদের অভিযোগ আছে। এ প্রসঙ্গে তারা জানিয়েছেন, ৬৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে, ঘটা করে প্রকল্পের উদ্বোধন করার পরেও এ শহরের বহু স্থানে শহরবাসী উপযুক্ত পানীয় জলের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ কারণে পৌরসভার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের হুঁশিয়ারি দিলেন তাঁরা।

গতকালের বৈঠকে কোচবিহার পুরসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা মহানন্দ সাহা জানালেন, কোচবিহার পুরসভার জঞ্জাল সাফাই, লেবার পেমেন্ট এর জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করা হচ্ছে। অথচ শহর পরিপূর্ণ হয়ে পড়েছে জঞ্জালে। তাই এ বিযয়ে তাঁর প্রশ্ন, কোটি কোটি টাকা যাচ্ছে কোথায়? এর উপযুক্ত তদন্তের দাবি করেছেন তিনি। এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেছেন যে, করোনা সংক্রমণের সময়েও কোচবিহার পুরসভার পক্ষ থেকে কোন কন্ট্রোলরুম খোলা হয় নি। উপরন্তু, এই মহামারীর সময়ে পুরসভা থেকে অপসারণ করা হয়েছে ৬৯ জন অস্থায়ী কর্মীকে। এই সমস্ত বিষয় সমন্বিত ১৫ টি অভিযোগ নিয়ে তাঁরা পুরসভায় অবস্থান করবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছেন যে, তাঁদের এই অভিযোগগুলো তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী, পুরমন্ত্রী, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীকেও জানাবেন।

এর সঙ্গে সঙ্গেই যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে কোচবিহার শহরের একাধিক রাস্তার বেহাল অবস্থার কথা জানিয়ে অভিযোগ করা হলো। তবে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কোচবিহার পুরসভা বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে আসা এই অভিযোগগুলির প্রতি তেমন আমল দেয়নি। কোচবিহার পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ভূষণ সিং এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ” আমরা আমাদের কাজ করছি। ওরা সবসময় পুরসভাকে হেয় করার জন্য এসব কথা বলে। ওদের কাছে তথ্য থাকলে তা দিক, তদন্ত হবে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!