এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে সময়েই? সুপ্রিম কোর্টের বড়সড় রায়ের পর নড়েচড়ে বসল সব মহলই, জেনে নিন

বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে সময়েই? সুপ্রিম কোর্টের বড়সড় রায়ের পর নড়েচড়ে বসল সব মহলই, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনাকালে সবকিছুই যখন পিছিয়ে যাচ্ছে তখন ভোট টা কি পিছানো যায় না? হতেও পারে। আর সেই আশায় ছিলেন বিহারের কিছু মানুষ। যতই হোক, ভোট হলে তার প্রচার আছে। সেই মত সব ব্যবস্থাই করতে হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে কিভাবে কি হবে সেই নিয়ে চিন্তা ছিল সব জায়গায়। তাই ভোট টা পিছলেই ভালো হত।

তবে বিহারের এই দাবিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিলেন তারা যখন চাইবে তখনই বিহারে নির্বাচন হবে। করোনার প্রকোপের জন্য নির্বাচন পিছানো যাবে না। তাই বিহারে নির্বাচন পিছানোর দাবিতে হওয়া মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত এদিন সাফ জানিয়ে দেয় যে নির্বাচন কবে বা কীভাবে হবে তা নিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে নির্দেশ দিতে পারে না কোনো সর্বোচ্চ আদালত। তাই ভোট যখন হবার তখনই হবে।

এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট আরও বলে যে করোনার অজুহাতে নির্বাচন কমিশনারের ক্ষমতায় কোনো ভাবেই হস্তক্ষেপ করা যায় না। আদালত তাঁকে কিছুই বলতে পারেন না। কী করা উচিত সেটা তিনিই সবদিক বিচার বিবেচনা করে ঠিক করবেন। তাছাড়া অন্যদিকে বিহার নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি এখনও জারি হয়নি। সুতরাং এখনই নির্বাচন নিয়ে ভাবার কোনো দরকার নেই।

নির্বাচন কমিশন সবদিক ভেবে নিশ্চয়ই উপযুক্ত সুরক্ষাব্যবস্থার বিষয়টি নির্ধারণ করবেন। সুতরাং সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর বোঝাই যাচ্ছে বিহারের ভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত এখন পুরোপুরি নেবে কমিশন। আর কমিশন অনেকদিন আগেই ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। তাই এর ভবিষ্যত ফল কি হতে চলেছে তা বোঝাই যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিহারে চলতি বছরের নভেম্বরে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আয়োজন করা ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। তাই নির্বাচন পিছনোর দাবিতে অবিনাশ ঠাকুর নামের এক ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার অবশ্য চাইছেন, ভোট সময়মতোই হোক। বিজেপিরও তাই দাবি। তবে তাঁর জোটসঙ্গী এবং গোটা বিরোধী শিবির চাইছে ভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক।

আবার রাজনৈতিক পরামর্শদাতাও চাইছেন ভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক। তাই বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক ফায়দার জন্য মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে নির্বাচন করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সুপ্রিম কোর্টের রায় এবিষয়ে শেষ কথা বলে দিয়েছে। উপরন্তু এর থেকে বাংলার ভবিষ্যত নিয়েও আগাম বার্তা টের পাওয়া যাচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!