এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন ‘উধাও’ এই হেভিওয়েট নেত্রী? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা!

বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন ‘উধাও’ এই হেভিওয়েট নেত্রী? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা!

দীপাবলীর আবহে শুরু হয়েছিল মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনী প্রচার। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপি তাঁদের নির্বাচনী প্রচার লোকসভা ভোট মেটার পরেই শুরু করে দিয়েছিল। যদিও নির্বাচনের আগে মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানাতে অনেক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। মহারাষ্ট্রে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল শিবসেনার সাথে বিজেপির জোট থাকবে কিনা তা নিয়ে। কারণ, আসন সমঝোতা নিয়ে তাদের মধ্যে একটি গণ্ডগোল হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।

অন্যদিকে, হরিয়ানায় উন্নয়নের দিকে নজর রেখে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের প্রচার চালায়। তবে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার মাঝেই কংগ্রেস হেভিওয়েট নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার বিতর্ক।এ বছরের মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের শেষে বুথ ফেরত সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে বিজেপিকে সরাতে কংগ্রেসকে বেশ বেগ পেতে হতে পারে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনের প্রচারে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর না-থাকা নিয়ে কংগ্রেস দলের মধ্যেই জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।

লোকসভা ভোটে সারা দেশ থেকে প্রায় হারিয়ে গেছে কংগ্রেস। সেই ভরাডুবির পর কংগ্রেস হাইকমান্ড মহারাষ্ট্র সহ 17 টি রাজ্যের একান্নটি উপনির্বাচন ক্ষেত্রে কংগ্রেস কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এবং সাংগঠনিক ভিত শক্ত করতে বেশ কিছু দলীয় কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন।

অন্যদিকে, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে কংগ্রেস হাইকমান্ড কিছু দায়িত্ব দিয়েছিলেন সাংগঠনিক ক্ষেত্রে। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে কোনো রাজনৈতিক প্রচার বা জনসভায় দেখা যায়নি সম্প্রতি। আর এই নিয়েই রাজনৈতিক মহলের একাংশের মধ‍্যে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা জানালেন, ‘উত্তরপ্রদেশে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সেখানে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। সেই কারণেই প্রধানত তাঁকে এইবারের বিধানসভা নির্বাচনে দেখা যায়নি।’

লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছেন। লোকসভায় তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বাচনী কাজে ছুটে বেড়িয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী ছিলেন হরিয়ানাতে। সেখানে প্রচার চালিয়েছেন। এমনকি রাহুল গান্ধীর প্রচারে তিনি কেরালাও গিয়েছিলেন।

2019 এর লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী তাঁর বহুদিনের বিজিত এলাকা বলে পরিচিত উত্তরপ্রদেশের আমেঠি থেকে বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে প্রায় পঞ্চাশ হাজারের বেশি ভোটে হার স্বীকার করেন। শুধুমাত্র রায়বরেলিতে কংগ্রেস নিজের ক্ষমতা ধরে রাখে। লোকসভা ভোটে কংগ্রেস রীতিমতো নিশ্চিহ্নের মুখে পৌছে যায়।

তাই বর্তমানে কংগ্রেস শিবির ঘুরে দাঁড়াতে রীতিমতো লড়াই করছে। উত্তরপ্রদেশে সাংগঠনিক ক্ষমতার জোরে এবং সেখানে কংগ্রেসের পুনর্নির্মাণে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কতটা কি ভূমিকা নেন এখন সেদিকেই নজর রাখছে দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপাতত হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে প্রত্যাশা অনুযায়ী ঢাল তলোয়ারহীন কংগ্রেস তথা বিরোধীদের চোখে না পড়ার মতো নির্বাচনী প্রচার, ও অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তার ছায়াসঙ্গী অমিত শাহের বিধ্বংসী নির্বাচনী রণকৌশল – সব মিলিয়ে বিধানসভা ভোটের ফলাফল যেমন আন্দাজ করা গেছিল, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বুথ ফেরত সমীক্ষায় তাই উঠে আসছে। গেরুয়া ঝড়ে রীতিমতো খড়কুটোর মতো উড়ে যেতে চলেছে কংগ্রেস।   আপাতত, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!