এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড়সড় স্বস্তি গেরুয়া শিবিরের – জেনে নিন বিস্তারিত

বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড়সড় স্বস্তি গেরুয়া শিবিরের – জেনে নিন বিস্তারিত


দেশের প্রতিটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বিজেপি শিবিরের ব্যস্ততা চরমে। বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে প্রত্যেকটি রাজ্যে সংগঠনকে রীতিমতো শক্তিশালী করতে ব্যস্ত তাঁরা। প্রতিটি রাজ্যের বিধানসভা নিয়ে আলাদা আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। সামনেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন – ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র নিয়ে বিজেপি শিবির চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে।

গেরুয়া শিবিরের অভ্যন্তরীণ খবর অনুযায়ী – সেই সংক্রান্ত রাজনৈতিক পরিকল্পনা একদম শেষ পর্যায়ে। ঠিক এই সময়ে একটি জল্পনা রটে যে, মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে বিজেপির জোটসঙ্গী শিবসেনা একাকী লড়াইয়ের পদক্ষেপ নিচ্ছে। অর্থাৎ জোট ভেঙে যাচ্ছে। এতে বিরোধী শিবিরে বয় খুশীর হাওয়া। তবে আপাতত স্বস্তির খবর বিজেপি শিবিরে।

আসন সমঝোতা নিয়ে যে দূরত্ব বেড়েছিল বিজেপির সাথে শিবসেনার, নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সেই দূরত্ব মিটে গেছে বলে বিজেপি সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গেছে। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোট নিয়ে অনিশ্চয়তার শুরু হয়েছিল আসন সমঝোতা নিয়ে। জোট সঙ্গী শিবসেনা দাবি জানায়, 50% আসনে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে চায় তাঁরা।

কিন্তু আপাতত আশঙ্কার কালো মেঘ সরে গেছে। ইতিমধ্যেই ভিতরের খবর অনুযায়ী, দুই দল আসন সংখ্যা ঠিক করে ফেলেছে। জানা গেছে, বিজেপি লড়বে 162 টি আসনে এবং শিবসেনা 126 টি আসনে লড়বে। এ নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি সরকারিভাবে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত বৃহস্পতিবার শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, মহারাষ্ট্রের বিজেপির সাথে জোট ভাঙলে তাতে তাঁদের কোন অসুবিধা হবে না। 50 শতাংশ আসন না পেলে শিবসেনা-বিজেপি জোট ভেঙে যাবে। তবে জল্পনাকে দূরে সরিয়ে আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল বিজেপি শিবির। প্রসঙ্গত 2014 সালে বিজেপি ও শিবসেনা আলাদা আলাদা ভাবে কংগ্রেস এবং এনসিপি জোটের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল।

সেখানে 122 টি আসন পেয়ে জিতেছিল বিজেপি। আর শিবসেনা পেয়েছিল 63 টি আসন। অন্যদিকে, কংগ্রেস ও এনসিপি পেয়েছিল যথাক্রমে 42 ও 41 টি আসন। পরবর্তীকালে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভা গঠন করলে কিছুদিন পর শিবসেনা দল মন্ত্রিসভায় যোগদান করে এবং পরবর্তীকালে বিজেপির জোট সঙ্গী হয়।

মহারাষ্ট্র শিবসেনা আঞ্চলিক দল হিসেবে যথেষ্ট বিখ্যাত। আর তাদের এই খ্যাতিকে কাজে লাগাতে চলেছে বিজেপি। তবে জোটসঙ্গী শিবসেনা কে নিয়ে মাঝে মাঝেই গুজব রটছে, জোট ভেঙে যাচ্ছে বলে। কিন্তু সব গুজব সরিয়ে দিয়ে বিজেপি ও শিবসেনার আসন বন্টন থেকে পরিষ্কার যে, জোট যেখানে ছিল, সেখানেই আছে – কিছুই বদলায়নি, বলেই অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

প্রসঙ্গত, শিবসেনা হল বিজেপির সবথেকে পুরোনো জোটসঙ্গী। লোকসভা নির্বাচনের সময়েও শিবসেনা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু, শেষপর্যন্ত অমিত শাহের হস্তক্ষেপে শিবসেনা পুনরায় জোটে ফেরে। যেহেতু, শিবসেনা ও বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক ‘হিন্দুত্ববাদী’ তাই জোট ভেঙে গেলে ত্রিমুখী লড়াইয়ে ফায়দা হত কংগ্রেস-এনসিপির। বিজেপি-শিবসেনার ভোট কাটাকাটিতে জিতে যেতে পারত জোট প্রার্থী – সেই সম্ভাবনা আপাতত বন্ধ করে দিল বিজেপি-শিবসেনা জোট।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!