এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বিধানসভা নির্বাচনের হারের পর গেরুয়া শিবিরের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ, জেনে নিন

বিধানসভা নির্বাচনের হারের পর গেরুয়া শিবিরের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন কার্যত বড়োসড়ো চ্যালেঞ্জ ছিল গেরুয়া শিবিরের কাছে। তাই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ে রাজ্য দখলে। এ রাজ্যের বিজেপি নেতাদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের, এমনকি দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও প্রায়দিনই এ রাজ্যে দেখা গিয়েছে। এবং বিজেপি প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী সুরে দাবি করে এসেছে, রাজ্যে দু’শোর বেশি আসন নিয়ে তাঁরাই সরকার গড়তে চলেছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা হয়নি। আর এবার গেরুয়া শিবিরের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ। ভোটের আগে তৃণমূলের ঘর ভেঙে অনেকেই বিজেপিতে যোগ দেন। যাদের মধ্যে অনেকেই আবার নতুন দলে যোগ দেওয়ার পরেই নির্বাচনী টিকিটও পেয়ে যান হাতেনাতে।

কিন্তু তার পরেই ঘটে যায় বিপর্যয়। বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় মুখ থুবরে পড়ে গেরুয়া শিবির। কোনরকমে 77 টি আসন দিয়ে মুখ রক্ষা করে গেরুয়া শিবির যা বর্তমানে এসে দাঁড়িয়েছে পঁচাত্তরে। খুব স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবিরের হারের কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর সেই অনুযায়ী তদন্ত শুরু হয়। অবশেষে সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা পড়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। সূত্রের খবর, বাংলায় বিজেপির বড় হারের পেছনে বেশ কিছু কারণ উঠে এসেছে- যার মধ্যে অন্যতম হলো জয় শ্রীরাম স্লোগানসহ বিজেপির একাধিক নেতার বিলাসবহুল জীবনযাপন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তরফ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, বঙ্গ বিজেপিতে নামতে পারে বড়োসড়ো ধ্বস।

কেন্দ্রীয় রিপোর্টে বলা হয়েছে আগামী দিনে বেশ কিছু বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলের যেতে পারেন। ইতিমধ্যেই অবশ্য প্রকাশ্যে বিজেপির একটা বড় অংশ তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। অনেকেই খোলা চিঠি লিখেছেন তৃণমূল নেত্রীকে উল্লেখ করে। অনেক প্রভাবশালী নেতাও ইতিমধ্যে তৃণমূলে যাবার জন্য পা বাড়িয়ে আছেন বলে রিপোর্টে উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর মতন নেতা, তেমনি রয়েছেন ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সোনালী গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস, প্রবীর ঘোষালের মতো হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরাও। আর বর্তমানে বিজেপির কাছে সবথেকে বড় আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলীয় ভাঙন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপির কাছে একটাই আশার কথা, শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বিজেপি থেকে ফিরে আসতে চাইলে নেতা-নেত্রীদের ফেরানো হবে কিনা। আর সেই সুযোগে বিজেপি নিজেদের দলের নির্বাচিত বিধায়কদের টিকিয়ে রাখতে মরিয়া। পাশাপাশি দলের পদাধিকারীদের দলে রাখার জন্যও বদ্ধপরিকর বিজেপি।

সূত্রের খবর, বিজেপি তাঁদের দলের বেসুরোদের খুঁজে বার করার জন্য একটি অভিনব উপায় আবিষ্কার করেছে। জানা যাচ্ছে, এবার থেকে দলীয় নেতৃত্ব প্রতিদিন রাতে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন এবং সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন কারা সেদিকে কড়া নজর রাখা হবে। এভাবেই জল মেপে নিতে চাইছেন বিজেপি নেতারা।

রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবিরের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচিত বিধায়কদের এবং সাংসদদের টিকিয়ে রাখার। কারণ ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, বেশকিছু বিজেপি বিধায়ক এবং সাংসদ তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে। অন্যদিকে আগামী 5 ই জুন তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক। সেদিকেও বিজেপির নজর রয়েছে। কারণ ওই বৈঠকেই তৃণমূলের কী ভাবনা দলবদলুদের নিয়ে তা বোঝা যাবে। সব মিলিয়ে হেরে যাওয়ার পর বিধায়ক সংখ্যা যাতে 75 এর নিচে না নামে সেদিকে কড়া সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!