এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিধানসভার আগে ক্রমশ চাপ বাড়ছে মমতার? এবার ধাক্কা খেলেন সুদূর মুম্বই আদালতে! জানুন বিস্তারে

বিধানসভার আগে ক্রমশ চাপ বাড়ছে মমতার? এবার ধাক্কা খেলেন সুদূর মুম্বই আদালতে! জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আবহের প্রাক্কালে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরা নিয়ে দেশজুড়ে একসময় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। এ রাজ্যেও পরিযায়ী শ্রমিক ফেরা নিয়ে শাসক-বিরোধী শিবিরের তুমুল রাজনৈতিক তরজা দেখা যায়। সেসময় অনেকক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে পরিযায়ী শ্রমিকদের আনাগোনার ফলে দেশের করোনা পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হয়ে উঠছে। যদিও এই প্রসঙ্গে বিতর্ক থাকলেও অনেকেই লকডাউন এর কারণে খেতে না পাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন বেশি।

অন্যদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরা নিয়ে যেভাবে এ রাজ্যের গেরুয়া শিবির তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল, ঠিক সেভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের দিক থেকেও রাজ্য সরকারের প্রতি অভিযোগ তোলা হয়েছিল। আর এবার সরাসরি বোম্বে হাইকোর্ট বাংলার সরকারের সমালোচনা করলেন এ প্রসঙ্গে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি বোম্বে হাইকোর্টে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার অনুমতি নিয়ে একটি আবেদন দাখিল করে সিটু আর তারই ভিত্তিতে এদিন শুনানি ছিল বোম্বে হাইকোর্টে।

বোম্বে হাইকোর্ট এদিন জানায়, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার ব্যাপারটি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেনি রাজ্য সরকার। অনেক ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার অনুমতিও দেয়নি বলেও আদালতে তরফে অভিযোগ করা হয়। তবে বোম্বে হাইকোর্টে যে আবেদন করেছিল সিটু তা মুম্বাইয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের দুর্দশা ভিত্তিতে বলেই জানা গেছে। সিটুর আবেদনে বলা হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার জন্য মহারাষ্ট্র সরকার যেভাবে নথিভুক্তির ব্যবস্থা করেছিল তা অত্যন্ত জটিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেই পদ্ধতি সরলীকরণের জন্যই মহারাষ্ট্র হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। এরই ভিত্তিতে মহারাষ্ট্র সরকার গতমাসে আদালতে জানায়, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের ইতিমধ্যে আর কোনো চাহিদা নেই। ফলে মনে করা হচ্ছে, সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক নিজের জায়গায় ফিরে এসেছে। অন্যদিকে সিটুর তরফের আইনজীবী গায়ত্রী সিং আদালতে দাবি করেন, সরকারি দাবি সম্পূর্ণ ভুল। এখনো 56 হাজার এমন শ্রমিক রয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়, যাঁরা নিজের রাজ্যে ফিরে যেতে চান।

আর সেখানেই পশ্চিমবঙ্গের নাম উঠেছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে মহারাষ্ট্র হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উদাহরণ তুলে ধরেন। আর পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার ব্যাপারটি সেখানকার রাজ্য সরকার যে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেনি আদালত থেকে এদিন জানানো হয়। বহু পরিযায়ী শ্রমিক এমন ছিলেন, যারা নিজেরাই নিজেদের রাজ্যে ফেরার জন্য ব্যবস্থা করে নিয়েছিলেন বলে বিচারক জানান।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরিযায়ী শ্রমিক ফেরা নিয়ে রাজ্য সরকার এমনিতেই চাপে ছিল। উপরন্তু রাজ্যের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিও ভালো নয়। তার ওপর যেভাবে বম্বে হাইকোর্টে পরিযায়ী শ্রমিক কাণ্ডে বাংলার মমতা সরকারের ব্যররথতার ছবি তুলে ধরলেন জাতীয় ক্ষেত্রে তা যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তুলল তা এককথায় মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। আপাতত রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি সামলাতে মমতা সরকারের পদক্ষেপের দিকেই লক্ষ্য রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!