বিধানসভার মিটিংয়ে সুরের মূর্ছনায় বিরোধিতা করে সবার মন জয় করে নিলেন বিজেপি বিধায়ক কলকাতা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য August 2, 2021August 2, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গানে গানে যেখানে বিরোধিতার সুর ফুটে ওঠে, সেই বিরোধিতা অন্য আঙ্গিকে উত্তীর্ণ হয়। প্রতিপক্ষের মন জয় করে নিতে পারে যেকোনো মুহূর্তে। আর ঠিক এটাই হয়ে গেল বিধানসভার কমিটি মিটিংয়ে। যে মিটিং গুরু গম্ভীর আলোচনায় মুখর হবার কথা, পক্ষ–বিপক্ষের তর্কবিতর্কে আক্রমণেরফলা তীক্ষ্ণ হবার কথা, কার্যত সেই বৈঠক হয়ে উঠল কবিগানের আখড়া। আর শাসক–বিরোধী উভয়ই মজে গেল গানের সুরে। তবে এই গান বিরোধী মত প্রকাশের জন্য ব্যবহার করেছেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। গত 25 শে জুলাই বিধানসভার তথ্য–সংস্কৃতি কমিটির বৈঠক ছিল। এবং এই বৈঠকে রাজ চক্রবর্তী, অদিতি মুন্সি থেকে শুরু করে বিজেপির বেশকিছু বিধায়ক হাজির ছিলেন। যার মধ্যে অন্যতম হলেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। কবিগানের সুরে তীক্ষ্ণ কথায় তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। কিন্তু এই আক্রমণ গায়ে না মেখে বরং খোলা মনেই এই সমালোচনা গ্রহণ করেছে তৃণমূল বিধায়করা। গত 25 জুলাই বিধানসভায় তথ্য সংস্কৃতি কমিটির মিটিংয়ে আসেন হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার। তিনি বৈঠকের শুরুতেই বলেন, তাঁরা কবিয়াল গোষ্ঠীর। গান রচনা করাই তাঁদের কাজ। তবে গানের মাধ্যমে তাঁরা মানুষের কথা বলেন আর সেই সূত্রেই তিনি বিধানসভার কমিটি মিটিংয়ে কবি গানে কার্যত তিনি সুর বেঁধেছিলেন ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার বিরুদ্ধে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজ্যব্যাপী তৃণমূল যে চরম রাজনৈতিক হিংসা চালিয়েছে, তার অভিযোগ এতদিন প্রত্যক্ষভাবে বিজেপি করে আসছে। বিধায়ক অসীম সরকার জানিয়েছেন, তিনিও তৃণমূলের সন্ত্রাসের মুখে পড়েছেন। এমনকি থানাতে পুলিশ কর্মীদের সামনে তাঁর দলের বিজেপি কর্মীদের তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচানো যায়নি। একটা সময় তিনি রাগ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানান বলে শোনা যায়। কার্যত ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে যুযুধান তৃণমূল এবং বিজেপি। তার মধ্যেই কবিয়াল অসীম সরকার বিধানসভার কমিটি মিটিংয়ে যোগ দেওয়ার পর চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তীর অনুরোধে গান শোনান। কার্যত তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী কিংবা অদিতি মুন্সি অসীম সরকারের গান শুনে রীতিমতো মোহিত হয়ে গিয়েছেন। অসীম সরকারকে তারা তারা একজন গুণী মানুষ বলেই ধরে নিয়েছেন। অন্যদিকে এই বৈঠকে নয়না দাস, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, মনোরঞ্জন ব্যাপারীর মতন বেশকিছু তৃণমূল শিল্পী সদস্য উপস্থিত থাকতে না পেরে আক্ষেপ করেছেন। সেখান থেকেই তাঁদের দাবি, অসীম সরকারকে আবারও ডেকে গান শোনার। সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিরোধিতা যদি এভাবে সুরে সুরে ছড়িয়ে যায় তাহলে এর থেকে ভালো আর কিছু হয়না। অন্যদিকে সুরের মূর্ছনায় বাঁধা পরেও তৃণমূল বিধায়ক কিন্তু অস্বীকার করতে পারবেন না বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ। তাই সেক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এখন সেটাই দেখার। আপনার মতামত জানান -