এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধানসভায় কি তৃণমূলের বিধান পরিষদের প্রস্তাব পাশ হবে? জমছে কৌতুহল

বিধানসভায় কি তৃণমূলের বিধান পরিষদের প্রস্তাব পাশ হবে? জমছে কৌতুহল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর থেকেই বিধান পরিষদ গঠন হওয়ার উপর জোর দিচ্ছে তৃণমূল। যদিও এর বিরোধিতা করেছে বিরোধী দলগুলি। কিন্তু তা সত্বেও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রবলভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিধান পরিষদ গঠন করতে এবং সেই অনুযায়ী একটি প্রস্তাব পাস হতে চলেছে আসন্ন বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের কোষাগারের যখন এত খারাপ হাল, তখন কেন শুধুশুধু বিধান পরিষদ গঠনের কথা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে? কিন্তু এক্ষেত্রে তৃণমূলের হিসাব-নিকাশ চলছে অন্য ভাবনায়। প্রসঙ্গত, উপ নির্বাচন নিয়ে কোনো হেলদোল নেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের।

অন্যদিকে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে ছয় মাসের মধ্যে যে কোন আসন থেকে জয়ী হয়ে আসতে হবে। ফলে ঠিক সময় উপনির্বাচন নাহলে বড়সড় সাংবিধানিক সংকটে পড়তে চলেছে রাজ্য। আর এই পরিস্থিতি থেকে বেরোনোর একটাই রাস্তা বিধান পরিষদ গঠন। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন ব্যয়সাপেক্ষ হলেও বিধান পরিষদ গঠন তৃণমূলের অন্যতম রাজনৈতিক কৌশল। তবে এতো সহজে বিধান পরিষদ গড়ার প্রস্তাব যে পাস হবেনা সে ব্যাপারে একমত রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। প্রথমত এই প্রস্তাব বিধানসভায় পাস হওয়ার পর রাজ্যপালের কাছে যাবে এবং এখানেই রাজ্য সরকারের প্রথম হার্ডল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্যপালের কাছ থেকে এই বিল যাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক হয়ে লোকসভা এবং রাজ্যসভায়। সব জায়গায় যদি গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া যায় তবেই বিধান পরিষদ গঠন হবে। কার্যত এই দীর্ঘ পরিকল্পনা কতদূর সফল হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 2011 সালের 23 আগস্ট বিধানসভায় বিধান পরিষদের প্রস্তাব পাস হয়েছিল। কিন্তু তারপর এডহক কমিটি তৈরি হয়েছিল। সেই কমিটি একটি রিপোর্ট দিয়েছিল। আগামী বিধানসভা অধিবেশনে এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই বিধান পরিষদ নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।

অন্যদিকে জাতীয় স্তরে যাতে বাংলার বিধান পরিষদের প্রস্তাবটি পাস হয়, তার জন্য ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা শুরু করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত উপ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না করা কেন্দ্রীয় গেরুয়া শিবিরের অন্যতম রাজনৈতিক কৌশল তৃণমূলকে চাপে ফেলার বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। এই অবস্থায় বিধানসভায় বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব নিয়ে কি আলোচনা হয় সে দিকেই এখন সবার নজর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!